চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

অগ্রগতি নেই হালদা প্রকল্পের

২৩ জানুয়ারি, ২০২২ | ১২:১৮ অপরাহ্ণ

মোহাম্মদ আলী 

 

দীর্ঘ এক বছরেরও অগ্রগতি নেই হালদা প্রকল্পের। প্রকল্পের অধীনে পুরাতন ৬ হ্যাচারি সংস্কার, নতুন করে আরো ৬টি আধুনিক মানের হ্যাচারি নির্মাণ এবং হাটহাজারীর মদুনাঘাটে একটি চেক পোস্ট নির্মাণ করবে মৎস্য অধিদপ্তর। কিন্তু প্রকল্পের নানা বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সময় ক্ষেপনের কারণে প্রকল্পটি এখনো একনেকে অনুমোদন মিলেনি।

ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, একনেক অনুমোদনের পর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে হালদার ডিম সংগ্রহকারীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ রুই জাতীয় মাছের প্রজনন ও রেণু উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। বাড়বে ডিম সংগ্রহকারীদের সুযোগ-সুবিধাও।

এক যুগ আগে হালদা নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্পের আওতায় নদীর পাড়ে ৬টি হ্যাচারি নির্মাণ করে মৎস্য অধিদপ্তর। এসব হ্যাচারির অবস্থান হচ্ছে রাউজানের কাগতিয়া, গহিরার মোবারকখীল ও পশ্চিম গহিরা এবং হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শার মাছুয়াঘোনা, শাহ মাদারি ও মদুনাঘাট বড়–য়াপাড়া। কিন্তু নির্মাণগত ত্রুটি, সময় মতো সংস্কার, তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হ্যাচারিগুলো থেকে প্রকৃত সুফল পাচ্ছে না ডিম সংগ্রহকারীরা। এর মধ্যে সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে কাগতিয়া হ্যাচারি। অনেকটা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে পশ্চিম গহিরা হ্যাচারিও। এ নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে ডিম সংগ্রহকারীদের।

বর্তমানে রাউজানের গহিরার মোবারকখীল, হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শার মাছুয়াঘোনা, শাহ মাদারি ও মদুনাঘাট বড়–য়াপাড়ার হ্যাচারি চালু থাকলেও নিয়মিত সংস্কারের অভাব এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা না থাকায় শাহ মাদারি হ্যাচারি থেকে প্রকৃত সুফল পাচ্ছে না ডিম আহরণকারীরা। সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৭ মে হালদা থেকে প্রথম দফায় ডিম আহরণের পর রেণু ফোটাতে গিয়ে শাহ মাদারি হ্যাচারিতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির শিকার হয় ডিম সংগ্রহকারীরা। হ্যাচারিতে নিজস্ব পুকুর ও গভীর নলকূপ না থাকায় হালদার লবণ পানি ব্যবহারের কারণে বেশিভাগ রেণু মারা যায়। এতে ক্ষতির শিকার হন ডিম সংগ্রহকারীরা। এ অবস্থায় বর্তমান ৬টি হ্যাচারি সংস্কার করে আধুনিকায়ন এবং নতুন করে আরো ৬টি হ্যাচারি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় মৎস্য অধিদপ্তর। একই সাথে প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ করা হবে মদুনাঘাট এলাকায় একটি চেক পোস্ট। কিন্তু দীর্ঘ এক বছরেরও প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদন না পাওয়ায় প্রকল্পটি এখনো মাঠ পর্যায়ে শুরু করা যায়নি।

প্রকল্প প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য অফিসার ফারহানা লাভলী পূর্বকোণকে বলেন, ‘হালদা পাড়ে নতুন করে আরো ৬টি আধুনিক মানের হ্যাচারি নির্মাণ এবং পুরাতন ৬ হ্যাচারিকে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। একই সাথে প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ করা হবে মদুনাঘাট এলাকায় একটি চেক পোস্ট। গৃহীত প্রকল্পটি নিয়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এরপর একনেকে অনুমোদন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে হালদার ডিম সংগ্রহকারীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ রুই জাতীয় মাছের প্রজনন ও রেণু উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।’

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট