সারোয়ার আহমদ
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে বছরের প্রথম নিলাম শুরু হয়েছে ৬৩ লট পণ্য দিয়ে। যার আটটি লটেই রয়েছে চীন থেকে আমদানি হওয়া ২৩০ টন রসুন। এসব রসুন গতবছর চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়। প্রতি কনটেইনারে ১ হাজার ৪৫০ ব্যাগ করে মোট ১১ হাজার ৬শ ব্যাগে রয়েছে এসব রসুন। এছাড়া বছরের প্রথম নিলামে আরো রয়েছে ছয় বার নিলাম হওয়া সেই ভাঙা দুটি গাড়ি। গাড়ি দুটি হলো ২০০৩ সালে তৈরি নিশান মাইক্রোবাস এবং ২০০৫ সালে তৈরি টয়োটা মাইক্রোবাস। নিলামের ক্যাটালগ অনুযায়ী গাড়ি দুটি ভাঙা অবস্থায় বন্দরের পি শেডে রাখা আছে। মোট ৬৩ লটের নিলামের ক্যাটালগ সূত্রে জানা যায় এবারের নিলামের অন্যান্য লটে রয়েছে গার্মেন্টস ফেব্রিক, বডি স্প্রে, হ্যান্ড সেনিটাইজার, ড্রাগন ফল, সালফিউরিক এসিড, টেক্সটাইল কেমিক্যাল, পেপার ট্যাগ, কনক্রিট ব্লক, লেডিস সোয়েটার, টি—শার্ট, ট্রাউজার, প্যান্ট ও শার্ট, জুতা ও ওয়াল টাইলস, আর্ট পেপার, মেশিনারিজ, চকলেট পেস্ট, রিচার্জেবল ফ্যান ও ফ্যান পার্টস, পিকআপ ভ্যান ও ক্রেন হুক, চশমা ও সানগ্লাস ইত্যাদি।
কাস্টমস সূত্র জানায়, নিলামের দরপত্র ও ক্যাটালগ বিক্রি শুরু হয়েছে গত ১৬ জানুয়ারি। বিক্রি চলবে ১৯ জানুয়ারি অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত। নিলামের দরপত্র ও ক্যাটালগ পাওয়া যাবে সরকারি নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশন এর স্ট্যান্ড রোডের মাঝিরঘাটস্থ প্রধান কার্যালয়ে এবং বন্দর স্টেডিয়ামের বিপরীতে কাস্টম অকশন শেড থেকে। এছাড়া ঢাকার দরদাতারা ৮০, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার ঠিকানা থেকেও ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
নিলামের দরপত্র জমা দেওয়া যাবে ১৯ ও ২০ জানুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত। এরপর বক্স লক রাখা হবে। ঢাকায় জমা পড়া দরপত্র চট্টগ্রামে আনার পর ২৩ জানুয়ারি রবিবার দুপুর আড়াইটায় নিলামের বক্স খোলা হবে।
নিলামের বিষয়ে নিলাম পরিচালনাকরী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশন এর ম্যানেজার (নিলাম শাখা) মোহাম্মদ মোরশেদ পূর্বকোণকে জানান, ‘গতবছর ১২ মাসে মোট ২৪টি নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছিল চট্টগ্রাম কাস্টমসে। এবার বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসেও দুটি নিলাম রাখা হয়েছে। যার প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ জানুয়ারি। ইতিমধ্যে নিলামের দরপত্র ও ক্যাটালগ বিক্রি শুরু হয়েছে।’
পূর্বকোণ/এসি