চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

করোনায় পৌরকর প্রদানে এগিয়ে বেসরকারি হোল্ডিং মালিকরা

১৫ জানুয়ারি, ২০২২ | ১:২৯ অপরাহ্ণ

ইফতেখারুল ইসলাম 

করোনাকালে সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেসরকারি হোল্ডিং মালিকরা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) বেশি পৌরকর দিয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ভাগে সরকারি হোল্ডিংয়ের কর ২৮ শতাংশ এবং বেসরকারি হোল্ডিংয়ের ৩১ শতাংশ আদায় হয়েছে। অপরদিকে, গত অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসে যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ভাগে তার চেয়ে ২৬ কোটি টাকা বেশি আদায় করেছে। চসিকের রাজস্ব বিভাগের তথ্যানুযায়ী সরকারি ১৫১৬টি হোল্ডিংয়ের কাছে বকেয়া এবং হাল মিলে মোট দাবি ২০২ কোটি ১৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭১৮ টাকা। কিন্তু আদায় হয়েছে ২৮ শতাংশ। অপরদিকে বেসরকারি  ১৯৯৪৬৫টি হোল্ডিংয়ের বিপরীতে মোট দাবি ছিল ১৮১ কোটি ৫৬ লাখ ৭৫ হাজার ২৮৮ টাকা। এই খাতে আদায় হয়েছে ৩১ শতাংশ।

বিদায়ী বছরের শেষ ৬ মাসে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পৌরকর আদায় করেছে ১১২ কোটি ৬৯ লাখ ২৯ হাজার ৮১৫ টাকা। যা তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ কোটি ৫৮ লাখ ৭১ হাজার ৪১৪ টাকা বেশি। এছাড়া মোট রাজস্ব ২৬ কোটি ১৮ লাখ ২৮ হাজার ৬২৩ টাকা বেশি আদায় হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের ২০২০ সালের ১ জুলাই হতে ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১৬৭ কোটি ৮৯ লাখ ৭৫৩ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে ২০২১ সালের ১ জুলাই হতে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৯৪ কোটি ৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৬ টাকা।

গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ২০ কোটি ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৬৯৪ টাকা ট্রেড লাইসেন্স ফি পেয়েছে। কিন্তু চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসে এই খাতে রাজস্ব আদায় কমেছে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা। তবে ভূমি হস্তান্তর কর বেশি আদায় হয়েছে। চলতি অর্থ বছরের প্রথম ভাগে ৩৮ কোটি ৯৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৩ টাকা আদায় হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের প্রথম ভাগে ছিল ২৫ কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ৪২৭ টাকা। এস্টেটের প্রায় পৌনে ৪ কোটি টাকা বেড়েছে। এছাড়া বিজ্ঞাপন কর ১৪ লাখ ২১ হাজার ২৮০ টাকা। সপসাইন ফি ৪ কোটি ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৮ টাকা। যান্ত্রিক যানবাহন ফি ৭ লাখ ৩৫০০ টাকা, অযান্ত্রিক যানবাহন ফি ১ লাখ ৭৯০ টাকা, বিবিধ আদায় ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ২২৫ টাকা, এবং এস্টেট ১৮ কোটি ৭৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা আদায় হয়েছে।

জানতে চাইলে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম পূর্বকোণকে বলেন, লালদিয়ার চর এলাকায় কিছু মন্দ হোল্ডিং আছে। ওইসব হোল্ডিংয়ের নামে চসিকের দাবি আছে। কিন্তু বাস্তবে হোল্ডিংগুলোর অস্থিত্ব নেই। মোট দাবি থেকে ওইসব হোল্ডিং বাদ গেলে আদায়ের হার আরো বেড়ে যাবে। চট্টগ্রাম বন্দর কিছু পৌরকর পরিশোধ করেছে। বাকি কর পরিশোধের জন্য তাদের চিঠি দেয়া হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও তাগাদা দেয়া হচ্ছে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট