২২ জুলাই, ২০১৯ | ১:৪২ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
একসময় তার ফল আর কাচের দোকান ছিল। কিন্তু লোকসান গুনতে থাকায় ব্যবসা গুটিয়ে নাম লেখায় ছিনতাইকারী দলে। সে হচ্ছে ফটিকছড়ির হাইদচকিয়া গ্রামের মনির আহম্মেদ (৩৬)। থাকে নগরীর বন্দর থানার সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায়। নগরীর খুলশী থানার টাইগার পাস এলাকা থেকে শনিবার রাতে একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও দুই রাউন্ড গুলিসহ মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইলিয়াছ খান। তিনি বলেন, ‘নগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে যত ছিনতাই হয় তার মাস্টার মাইন্ড মনির। একসময় ব্যবসা করার সুবাদে তার বিভিন্ন ব্যাংকে একাউন্ট আছে। সেসব ব্যাংকে গিয়ে কোন লোক টাকা নিয়ে ব্যাংক থেকে বের হয় তার খোঁজ নেয়’। গত ২১ মে খুলশী থানার ঝাউতলা এলাকায় ডিবি পরিচয়ে এক বাসযাত্রীর কাছ থেকে তিন লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় একদল লোক। ওই ঘটনায় সম্পৃক্ততা আছে মনিরের। তার দলে সাদ্দাম, হারাধন, জাহেদ, রাজীব, আরিফ, বড়
মিয়া, মামুনসহ আরও কয়েকজন আছে। গত ২৪ মে ঝাউতলা এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আহত হয়েছিলো মামুন। ওই মামলায় জাহেদ, আরিফ, মামুনসহ চারজন কারাগারে আছে। পুলিশ কর্মকর্তা ইলিয়াছ খান জানান, দীর্ঘদিন চকবাজার এলাকায় ফল এবং
বাকলিয়া কালামিয়া বাজার এলাকায় কাচের দোকান করেছে মনির। কিন্তু লোকসান হতে থাকায় ২০১০ সালের দিকে ব্যবসা গুটিয়ে ছিনতাইয়ে নেমে পড়ে। ‘পাগলা মনির’ নামে পরিচিতি থাকা মনির শিবিরের রাজনীতিও করতো বলে কথিত আছে চকবাজার এলাকায়। নিজের মোটরসাইকেল থাকায় সেটা নিয়ে নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী বায়েজিদ এলাকার শাহাবউদ্দিনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ে মনির। ২০১১-১২ সালের দিকে দুইজন মিলে বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় ছিনতাই করতো। ২০১৭ সালে হাটহাজারীতে ডিবি পরিচয়ে ৩১ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রথম গ্রেপ্তার হয়েছিলো মনির। একই বছর চান্দগাঁও এলাকায় ১১ লাখ টাকা ছিনতাইয়েও জড়িত থাকার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
পুলিশ পরিদর্শক ইলিয়াছ বলেন, ‘হাটহাজারী ও চান্দগাঁও থানার মামলায় প্রায় ছয় মাস জেল খেটে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি জামিনে ছাড়া পেয়ে মনির বায়েজিদ এলাকায় সাড়ে নয় লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছিলো’।