চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রাউজানের প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু

স্ত্রীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

জাহেদুল আলম , রাউজান

২২ জুলাই, ২০১৯ | ১:৪২ পূর্বাহ্ণ

রাউজানের বাসিন্দা মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মোহাম্মদ হাসানের চট্টগ্রাম নগরীর শ্বশুরবাড়িতে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এর প্রেক্ষিতে আদালত ওই মামলার ৬ আসামির মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। বাকি তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন প্রার্থনা করেন। গতকাল রবিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন নিহত মোহাম্মদ হাসানের নিকটাত্মীয় সায়মন। তার দেয়া তথ্যে জানাযায়, এ মামলার তারিখ ছিল গত ১৬ জুলাই। এদিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর মামলার ৬ আসামির মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার নির্দেশ দেন আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট। যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা করা হয়েছে তারা হলেন ভিকটিমের স্ত্রী নাসিমা আক্তার (৩৮), মোহাম্মদ হাসান (২৮), মোহাম্মদ হোসেন (২৩)। তাদের বিরুদ্ধে প্রবাসী হাসানকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। আর একই মামলার যে অপর তিন আসামিকে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে তারা হলেন ঝিনু আক্তার (২৫), মোহাম্মদ রফিক (৬০) ও নিলুয়ারা বেগম (৫২)। নিহতের আত্মীয় স্বজনদের কাছে জানা যায়, ভিকটিম হাসান তার স্ত্রী নাসিমা আক্তারের কাছে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতো। গত বছরের ৮ জুলাই হাসান কাতার থেকে বাড়িতে আসেন। হাসানের মৃত্যুর ৩/৪ দিন

আগে বিদেশ থেকে তার প্রেরিত টাকার হিসেব নিয়ে নাসিমা আক্তারের সাথে বাদানুবাদ হয়। এছাড়া বিদেশে থাকার সময় স্ত্রী নাসিমার চালচলন ও আচার আচরণে বিশৃঙ্খলার বিষয়টিও হাসানের নজরে আসে। গত বছরের ১৬ আগস্ট উত্তর চান্দগাঁওস্থ চৌধুরী পাড়ার এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে যান মোহাম্মদ হাসান। ওইদিন রাত ১১টা থেকে পরদিন ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে যেকোন সময় রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ঘটনার পরদিন প্রবাসীর স্ত্রী নাসিমা আক্তার চান্দগাঁও থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। ওইদিন রাত ১২টা ৪০ মিনিটে নাসিমা আক্তার থানায় হাজির হয়ে করা মামলায় বলা হয়, ভিকটিম মোহাম্মদ হাসান দেশে আসার পর বিভিন্ন ধার-দেনার কারণে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। এ কারণে মূলত তিনি আত্মহত্যা করেছেন। পরে ভিকটিমের মা আনজুমান খাতুন তার ছেলেকে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেন। তিনি আরজিতে হাসানের লাশ উত্তোলন করে আবার ময়নাতদন্ত করার আবেদন জানান।
ঘটনার প্রায় সাড়ে ৫ মাস পর আদালত ওই ঘটনা তদন্তে পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেন। আদালতের দেয়া আদেশে মোহাম্মদ হাসানের মৃত্যু প্রকৃত অর্থে কিভাবে হয়েছে তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পিবিআইকে বলা হয়। দীর্ঘদিন তদন্ত কাজ শেষে পিবিআই গত ১৬ জুলাই ওই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট