চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

অনুমতি ও তদারকি নেই কক্সবাজার প্রশাসনের

ম্যাসাজ পার্লারের আড়ালে অবৈধ কর্মকাণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, কক্সবাজার

১৮ জুলাই, ২০১৯ | ৯:৫৫ অপরাহ্ণ

 

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ক্রমেই বেড়ে চলেছে ম্যাসাজ পার্লার। এসব পার্লারের আড়ালে চলছে অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড। অভিযোগ আছে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ দিয়ে মোটা অংকের অর্থ মাসোয়ারা তুলছে এক শ্রেণির প্রভাবশালী। এছাড়া এসব ম্যাসাজ পার্লারগুলোকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই তদারকি।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের হোয়াইট বিচ হোটেলের তৃতীয় তলায় গড়ে উঠেছে এঞ্জেল টার্স ম্যাসাজ পার্লার। তারপরে ওশান প্যারাডাইজ হোটেলের বিপরীত দিকে গড়ে উঠেছে আরও একটি ম্যাসাজ পার্লার। কিন্তু এসব পার্লারের বেতরে ম্যাসাজের বদলে চলছে অবৈধ কর্মকাণ্ড।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এসব পার্লার অনুমোদনের জন্য আবেদন করলেও তাদের পরিবেশ ভাল না থাকায় অনুমতি দেয়া হয়নি। তারপরও তারা স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের হাত করে এসব পার্লারে অবৈধ কর্মকাণ্ড চলমান রেখেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাহির থেকে ভেতরের পরিবেশ অনুমান করা খুবই কঠিন। ভেতরে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে একটি পরিপাটি সেলুন। অথচ এর মধ্যে চলছে ভয়ঙ্কর অনৈতিক কর্মকাণ্ড। বাহিরের দিকটায় পর্দা টানিয়ে ভিতরে ঢুকলেই দেখা মিলবে স্কুল-কলেজ ও ভার্সিটি পড়ুয়া সুন্দরী যুবতীদের আনাগোনা। এখানেই চলে যতসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড। স্কুল-কলেজের উঠতি বয়সী ছেলেরাসহ যুব-সমাজের একটি বড় অংশ এদের খরিদ্দার। সেখানে দেখা মিলে ম্যাসাজের দায়িত্বে থাকা সুন্দরী রমণীদের। যাদের দেখে বোঝার উপায় নেই তারা পতিতা নাকি অন্যকিছু।

এখানে কাজ করেন এমন একজনের নাম মিষ্টি (ছদ্মনাম)। তিনি জানান, মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেতনে দুই মাস হয় তিনি এখানে চাকরি নিয়েছেন। তবে তিনি কি ধরনের ম্যাসেজ করেন সেই ব্যাপারে প্রতিবেদকের প্রশ্নের উত্তরে চুপ হয়ে যান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের এনডিসি লুৎফর রহমান (সদ্য বিদায়ী) আমাদের প্রতিবেদককে বলেন, আমি দায়িত্বে থাকাবস্থায় এরা অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। কিন্তু তাদের পরিবেশ ভাল না থাকায় ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে অভিযোগে অনুমোদন দেয়া হয়নি।

মুঠোফোনে এসব বিষয়ে এঞ্জেল টার্স ম্যাসাজ পার্লারের ম্যানেজার সাজু বলেন, আমাদের জেলা প্রশাসনের সব অনুমোদন রয়েছে। আপনি এসে দেখে যান।

পরে সেখানে গেলে তিনি কিছুই দেখাতে পারেননি। বরং তিনি আর্থিকভাবে এ প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।

কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আশরাফুল আবছারের বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নয়।খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

 

পূর্বকোণ/আরাফাত-রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট