চকরিয়ায় সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফলাফল কারচুপি, প্রভাব বিস্তারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ৬ প্রার্থী। এ নিয়ে বুধবার (১ ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থী আবু তৈয়ব ও ৫ ইউপি সদস্য প্রার্থী অভিযোগটি করেন।
জানা গেছে, ২৮ নভেম্বর ইভিএম পদ্ধতিতে সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মহসিন বাবুল, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নবী হোসেন ও ঘোড়া প্রতীক নিয়ে আবু তৈয়ব।
ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তৈয়ব অভিযোগ করেন, ভোটের আগেরদিন রাতের আধারে স্বতন্ত্র প্রার্থী নবী হোসেন উপজেলার এক বড় নেতাকে সাথে নিয়ে প্রতি কেন্দ্রে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারদের ১০ লাখ টাকা করে দিয়ে ভোটের ফলাফল পরিবর্তনের জন্য কন্ট্রাক্ট করে। ফলে নির্বাচন চলাকালে কেন্দ্রে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে প্রভাব বিস্তার, বুথ ভিত্তিক এজেন্টদের কাছে রেজাল্টশীট না নিয়ে প্রতি কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীসহ তাকে পরাজিত করে ফলাফল প্রকাশ করে সংশ্লিষ্টরা মিশন বাস্তবায়ন করেছে। তাই সাহারবিল ইউনিয়নের বিতর্কিত নির্বাচন বাতিল করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পুনঃনির্বাচন দাবি করেন তিনি।
অপরদিকে, রেজাল্টশীট পরিবর্তনের অভিযোগে ভোট পুনঃগণনা অথবা পুনঃনির্বাচন চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাহারবিল ইউপি নির্বাচনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী কামাল উদ্দিন (প্রতীক ফুটবল), একই ওয়ার্ডের মনজুর আলম (প্রতীক মোরগ), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী আবদুল হক (প্রতীক মোরগ), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম (প্রতীক টিউবওয়েল), ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী (প্রতীক ফুটবল)।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ জানান, অভিযোগসমূহ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পূর্বকোণ/এএ/পারভেজ