প্রফেসর ড. মুনতাসির মামুন বলেন, আমরা যখন ছাত্র ছিলাম এবং ছাত্র রাজনীতি করেছি, তখন দেখেছি ছাত্ররাই ছাত্ররাজনীতির নেতৃত্ব দিয়েছে। এমনকি বঙ্গবন্ধুও ছাত্র থাকা অবস্থায় ছাত্ররাজনীতি করেছেন। ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পর তিনি ছাত্ররাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায়, অনেকে যুগ যুগ ধরে ছাত্ররাজনীতি করছে। আগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শুনলে উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান করত, এখন শিক্ষার্থী দেখলে মানুষ পকেট চেক করে সব ঠিকঠাক আছে কিনা নাকি লাঠি দিয়ে মারবে। একজন ছাত্র নেতার কাজ পড়াশোনা পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কথা বলবে। কারো ক্ষতি করবে না। টেন্ডারবাজি করবে না।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হল কর্তৃক আয়োজিত ‘একজন বঙ্গবন্ধু, একটি স্বাধীনতা যুদ্ধ ও একটি দেশ’ শীর্ষক পাবলিক লেকচারে বিশিষ্ট গবেষক ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর মুনতাসির মামুন এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকাল চারটায় আলাওল হলের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে হলের টেলিভিশন কক্ষে লেকচারটি আয়োজিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য প্রফেসর শিরীণ আখতার ও বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে।
প্রবন্ধ উপস্থাপকের বক্তব্যে মুনতাসির মামুন বলেন, এখন ছাত্ররাজনীতি পরিবর্তন হয়েছে। যা বঙ্গবন্ধু চাননি। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়ে টেন্ডার নামে কোনো কিছু পাইনি। আজ আমরা বঙ্গবন্ধুর স্লোগান দিই কিন্তু কাজ করি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিপন্থী। এখন ছাত্ররাজনীতির নামে নেতিবাচক অনেক কিছুই হচ্ছে। ছাত্র নেতারা দামি গাড়ি নিয়ে ঘুরে, যা আমার ৪৬ বছর শিক্ষকতা করেও পারিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যা বলেছেন তা করেছেন। তিনি সব সময় গণতন্ত্রের কথা বলেছেন। ন্যায়ের পক্ষে ছিলেন। তাই বঙ্গবন্ধুর উপাধি রয়ে গেছে।
আলাওল হলের প্রভোস্ট ড. নঈম হাছান চৌধুরীর সভাপতিত্ব ও হলের আবাসিক শিক্ষক ঝুলন ধরের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর শিরীণ আখতার উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া।
পূর্বকোণ/রায়হান/মামুন/পারভেজ