চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সমন্বয় সভায় এ দাবি

বন্দরে বে-টার্মিনালে ডেলিভারি ইয়ার্ড ও ট্রাক টার্মিনাল বাস্তবায়ন করুন

১৭ জুলাই, ২০১৯ | ১০:৩৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার যানজট নিরসনে অনতিবিলম্বে বে টার্মিনালে ডেলিভারি ইয়ার্ড ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ বাস্তবায়ন দাবি করেছে চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ (সিসিসিআই)।
আজ বু্ধবার (১৭ জুলাই) ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ‘চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় অসহনীয় যানজট, আমদানি ও রপ্তানি কন্টেইনার পরিবহন সংকটসহ সার্বিক পরিস্থিতির মাঠ পর্যায়ের সমস্যা চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক এক সমন্বয় সভায় এ দাবি করা হয়।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, পরিচালক সৈয়দ জামাল আহমেদ ও অঞ্জন শেখর দাশ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) এনামুল করিম, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্ণেল তানভীর আহাম্মদ জায়গীরদার, সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মোশাররফ হোসেন, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি এ.এম. চৌধুরী সেলিম ও পরিচালক খন্দকার বেলায়েত হোসেন, সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু ও বন্দর বিষয়ক সম্পাদক লিয়াকত আলী হাওলাদার।
সভায় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, গত ৭-৮ দিনের যানজট, বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে আর্থিক কর্মকান্ড ও জনজীবন। অতিবৃষ্টি, যানজট, জলজটের কারণে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাতে ব্যবসায়ীগণ অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। প্রায় ৪ ঘণ্টা সময় লেগেছে বিমানবন্দর থেকে মূল শহর পর্যন্ত মাত্র ১৬ কিমি রাস্তা পার হতে। ফলে অনেক বিদেশী ক্রেতা কার্যাদেশ না দিয়েই ফিরে যাচ্ছেন। তাছাড়া বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে। এ ধরণের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় নগরীর উপর চাপ কমিয়ে বন্দরের গতিশীলতা বজায় রাখতে অতি সত্ত¡র বে-টার্মিনাল এলাকায় ডেলিভারি ইয়ার্ড ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ ফাস্টট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানাই আমরা। অন্যথায় সরকারের লক্ষ্যার্জন চরম চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
সভায় চসিককে সড়ক মেরামত কাজ রাতের বেলায় করা, বন্দর অভ্যন্তরে কোন ট্রাক/ট্রলি প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় অবস্থান না করা, ট্রাক/ট্রলি ড্রাইভারদের কন্টেইনার অবস্থান সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান, এয়ারপোর্ট রোড, পোর্ট কানেক্টিং রোড ও আগ্রাবাদ এক্সেস রোডসহ সংস্কারাধীন রাস্তাসমূহের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা, বন্দর এলাকায় রাস্তার উপরে ও ফুটপাতে কোন ধরণের দোকানপাট করতে না দেয়া, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার নিশ্চিত করা, রেল চলাচলে শৃঙ্খলা আনা, এলসিএল কন্টেইনারের পণ্যসমূহ বন্দর অভ্যন্তরে না খোলা, কর্তৃপক্ষের কাছে বন্দরে প্রবেশমুখী গাড়ীর নং ও ড্রাইভারের বৃত্তান্ত যথাসময়ে দাখিল করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট