চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

৪৬ প্রকল্পের অভিযোগ তদন্ত দাঁতমারা চেয়ারম্যানকে ফের চিঠি দুদকের

নিজস্ব সংবাদদাতা হ ফটিকছড়ি

১৫ জুলাই, ২০১৯ | ২:২৬ পূর্বাহ্ণ

দুদকসহ একাধিক সংস্থা কর্তৃক ইতোপূর্বে একদফা তদন্তে কোন অনিয়ম পাওয়া না গেলেও ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৬টি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ফের দুদক থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানাগেছে। উল্লেখ্য দাঁতমারা ইউপির দুই মেম্বার আনোয়ার হোসেন ও সুব্রত দে বাদি হয়ে গত ১৬সালের ৪৬টি টিআর প্রকল্পের ৩৬লাখ ১৮হাজার টাকা উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো.জানে আলম আত্মসাৎ করেছে মর্মে ইতোপূর্বে দুদকসহ সরকারের একাধিক প্রতিষ্ঠানে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি দুদক আমলে নিয়ে সরেজমিন এসে তদন্ত করেন। এবং

দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে গত ২৪ এপ্রিল ১৯ইং দুনীতি দমন কমিশনের সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে (স্মারক নং০০.০১.১৫০০.৬২৩.০১.১৬৫.১৭)। তিনি উক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অনুসন্ধানে প্রমানিত না হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তা পরিসমাপ্ত করা হলো” মর্মে উল্লেখ করে বিষয়টি চিঠি দিয়ে উক্ত চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া একই অভিযোগ উক্ত দুই মেম্বার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে দায়ের করলে সে সব কার্যালয় থেকেও আলাদা আলাদা ভাবে তদন্ত করে অভিযোগের কোন সত্যতা না পেয়ে বিষয়টি পরিসমাপ্ত করা হয়েছে মর্মে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্ত গত ৩/৬/১৯ইং দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২এর উপসহকারী পরিচালক মো.শরীফ উদ্দিন উক্ত ৪৬টি প্রকল্পের দুনীতি তদন্তের জন্য পূনরায় উক্ত চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে হাজির হবার জন্য একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে উক্ত চেয়ারম্যান জানান। চিঠির (স্মারক নং-দুদক/সজেকা/চট্টগ্রাম-২/২০১৯/১৭০৪ তারিখ ৩/০৬/১৯ইং)। এ বিষয়ে উক্ত চেয়ারম্যান জানে আলম বলেন, বিষয়টি ইতোপূর্বে দুদকের উর্ধতন কর্মকর্তারা তদন্ত করে কোন দুর্নীতি পাননি মর্মে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন। অথচ একই অফিস থেকে মাত্র দু মাসের মাথায় পূনরায় একই বিষয়ে তদন্তের জন্য চিঠি দেওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন। এব্যাপারে চিঠি প্রদানকারী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২এর উপসহকারী পরিচালক মো.শরীফ উদ্দিনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, উক্ত ৪৬প্রকল্প এবং আরো কিছু বিষয় তদন্ত করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশেই তিনি চিঠি দিয়েছেন বলে জানান। এছাড়া বিষয়টি ইতোপূর্বে তদন্ত করা হলেও দ্বিতীয়বার তদন্ত করতে আইনগত কোন বাধা নেই বলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট