দুর্গাপূজার মধ্যে কুমিল্লার মণ্ডপে ‘কুরআন রেখে’ দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়ানোকে কোনো ‘ভবঘুরে‘র কাজ হিসেবে মানতে নারাজ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।পূর্ব পরিকল্পিত’ এই ঘটনার পেছনের ‘চক্রান্তকারীদের’ খুঁজে বের করার জন্য জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে নগরের দেওয়ানবাজারে তাঁর বাসায় শিক্ষা উপমন্ত্রী চলমান বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তের সঙ্গে একান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা সারাদেশে সম্প্রীতি ও শান্তির সমাবেশ করছি। দেশের যেকোনো মানুষ সংক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলন করতে পারেন, সেটা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। সংক্ষুব্ধ হওয়াটা স্বাভাবিক, সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সংক্ষুব্ধ সবাই হবেন অবশ্যই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও কী সংক্ষুব্ধ নয়? আমাদের সরকার ক্ষমতা থাকাবস্থায় অপরাজনৈতিক শক্তি কাজটি করছে, আমরাও সংক্ষুব্ধ। আমাদের দল থেকে সংক্ষুব্ধ, সংক্ষুব্ধ হওয়াটা স্বাভাবিক, তার জন্য সম্প্রীতির সমাবেশ করছি, আমরা খুবই সংক্ষুব্ধ। আমরা বিক্ষোভ করছি, আমরা প্রতিবাদ করছি ও প্রতিরোধ করার প্রস্তুতি নিয়েছি।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, “কুমিল্লার ঘটনায় ইকবাল হোসেন নামে যাকে শনাক্ত করা হলো.. গতকাল টিভির মাধ্যমে দেখলাম তার নামের আগে একটা শব্দ জুড়ে দিল.. ‘ভবঘুরে’ । কখনো কখনও এরকম যাদের ধরা হয়, কখনও বলে ‘পাগল‘, না হয় ‘ভবঘুরে‘। এ ভবঘুরে কি করে পবিত্র কুরআন শরিফ চিনল? যদি ভবঘুরে হয়ে থাকে নতুন বই কোত্থেকে আনল? কে দিল? আর হনুমানের গদাটা এমনভাবে সরাল, যাতে হাতের কিছু না হয়, সেখানে আবার পবিত্র কুরআন শরিফটা দিয়ে দিল।- এটা কোনো ভবঘুরের কাজ হতে পারে না।
এই ঘটনাকে ‘পূর্ব পরিকল্পিত’ আখ্যা দিয়ে আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত বলেন, “চক্রান্তকারীরা এর পেছনে আছে। তাদের বের করে আনার দায়িত্ব এখন রাষ্ট্র ও সরকারকে নিতে হবে।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ