চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস

পুরোদমে অনলাইন প্রক্রিয়ায় রপ্তানির ইজিএম কার্যক্রম

সারোয়ার আহমদ

১৯ অক্টোবর, ২০২১ | ১:০৪ অপরাহ্ণ

আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম পুরোদমে অনলাইন ভিত্তিক করার প্রকিয়ায় আরেক ধাপ পাড় করলো চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশক্রমে ই-পেমেন্ট পদ্ধতিতে শুল্কায়ণের পর এক্সপোর্ট জেনারেল মেনিফেস্ট (ইজিএম) ও অনলাইনে সাবমিট করার কাজ শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে। ইতিমধ্যে রপ্তানি পণ্য সংরক্ষণ, স্টাফিং ও জাহাজীকরণে ব্যবহার করা বেসরকারি অফডকগুলোকে ইজিএম অনলাইনে সাবমিট করতে গত ২৩ আগস্ট নির্দেশনা দিয়ে রোডম্যাপ তৈরি করে দিয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে সবগুলো অফডক অনলাইন ইজিএম এর আওতায় চলে আসবে। এটি পুরোদমে বাস্তবায়ন হলে রাপ্তনি ক্ষেত্রে কাস্টমের কার্যক্রম আরো সহজতর হবে। যে কোন মূহুর্তে রপ্তানি পণ্যের যে কোন তথ্য সহজেই সনাক্তকরা সম্ভব হবে। গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম ধাপে শুরু করা এই কাজে ইসহাক ব্রাদ্রার্স ডিপো তাদের অনলাইন ইজিএম সাবমিট করার কাজে ৮২ শতাশং কর্মদক্ষতা দেখাতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন কাস্টমস সূত্র। ধাপে ধাপে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সবগুলো বেসরকারি অফডক অনলাইন ইজিএম সাবমিটে পারদর্শী হয়ে উঠলে ইজিএম কার্মক্রম পুরোদমে বাধ্যতামূলক অনলাইনে করা হবে। চট্টগ্রাম কাস্টমসে এতদিন শুধুমাত্র আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে অনলাইনে ইমপোর্ট জেনারেল মেনিফেস্ট (আইজিএম) জমা দেয়া যেতো। তবে এখন থেকে রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রেও এক্সপোর্ট জেনারেল মেনিফেস্ট (ইজিএম) জমা দেয়া যাচ্ছে অনলাইনে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সফি উদ্দিন পূর্বকোণকে বলেন, এনবিআরের নির্দেশে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন ইজিএম পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এজন্য অনেক আগেই এসাইকুডা ওয়াল্ড সিস্টেম সফটওয়্যারকে আপডেট করা হয়েছে। অনলাই ইজিএম বাস্তবায়ন হলে রপ্তানি পণ্য শুল্কায়ন ও জাহাজীকরণে সুফল পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরনের পূর্বে কারখানা বা রপ্তানিকারকের গোডাউন থেকে পণ্য প্রথমে আনতে হয় বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে। সেই ডিপোতে পণ্যের ওজন, ধরণ, রপ্তানিকারক-আমদানিকারক, রপ্তানি মূল্যসহ সব তথ্য নতুন পদ্ধতিতে ইজিএম তৈরী করতে হবে অনলাইনে। এ বিষয়ে বেসরকারি অফডকগুলোর মালিকদের সংগঠন বিকডা’র মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার পূর্বকোণ বলেন, ইজিএম’র সাবমিট করার কাজটি করবে মূলত ফ্রেইট ফরোওয়ার্ডার্সরা। তাদের কোন প্রক্রিয়ায় এবং কোন ফরম্যাট অনলাইন ইজিএম সাবমিট করতে হবে তার প্রশিক্ষণ দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আমরা কনটেইনারে রপ্তানি পণ্য স্টাফিং করার পর পণ্যের যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করি ফ্রেইট ফরোওয়ার্ডার, শিপিং এজেন্ট ও অফডকে থাকা দায়িত্বশীল কাস্টমস কর্মকর্তাকে। সেই অনুযায়ী রপ্তানি সংশ্লিষ্ট তথ্য দিয়ে ফ্রেইট ফরোওয়ার্ডার্সরা অনলাইনে ইজিএম জমা দিবেন। এর ফলে রপ্তানি ক্ষেত্রে শিপিং কাজে ব্যাপক সচ্ছতা আসবে এবং খুব সহজে রপ্তানি যে কোন তথ্য পাওয়া যাবে। এদিকে অনলাইন ইজিএম প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোওয়ার্ডার্স এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি খায়রুল আলম সুজন পূর্বকোণকে বলেন, অনলাইন ইজিএম প্রক্রিয়াকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এই কার্যক্রমের ফলে রপ্তানি বাণিজ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। তবে বর্তমানে আমরা আইজিএম একটি ইউজার আইডি দিয়ে অনলাইনে তথ্য ইনপুট করি। ইজিএম’র জন্য আলাদা আরেকটি আইডি দিলে কাজ করতে জটিলতা তৈরী হতে পারে। এজন্য আরো সক্ষমতা বাড়ানো দরকার।

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট