কক্সবাজারের মহেশখালীতে কালারমারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাসের ছোটভাই মোহাম্মদ রুহুল কাদেরকে (৩৫) গুলি ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাত ১০ টার পর কালারমারছড়া বাজারের পূর্বপাশে ফকিরজুম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রুহুল কাদের কালারমারছড়া ইউনিয়নের ফকিরজুম পাড়া গ্রামের মোহাম্মদের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হাই। রাত সাড়ে ১১ টায় পূর্বকোণকে তিনি বলেন, রাত ১০ টার পর ফকিরজুম পাড়ার রাস্তারমুখে তার বড় ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সম্পাদক আব্বাসের অফিস সংলগ্ন এলাকায় রুহুল কাদেরকে গুলি করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
তিনি আরও বলেন, কালারমারছড়া বাজারের ফকিরজুম পাড়ার প্রবেশমুখ এলাকায় তার ভাইয়ের অফিস। রাতে তিনি অফিসের পাশে আড্ডা দিচ্ছিলেন ঠিক তখনি খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা বলছেন, ‘রুহুল কাদেরের বড় ভাই আব্বাস ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তার রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাকে কোনঠাসা করতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এছাড়াও আব্বাস উদ্দীন স্থানীয় এমপি আশেক উল্লাহ রফিকের অনুসারী।’
তাদের দাবি, ‘রুহুল কাদেরের অফিসের পাশে বাজার এলাকায় অবস্থান করছিল দুস্কৃতিকারীরা সিএনজি ট্যাক্সি করে এসে কমান্ডো স্টাইলে তার মাথায় গুলি করে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এরপর ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে ওই এলাকা ত্যাগ করে সন্ত্রাসীরা। গুলির বিকট শব্দে বাজারে আগত লোকজন ও ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দিকবিদিক ছুটে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন।
ওসি মোহাম্মদ আব্দুল হাই বলেন, হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়ে এখনো সু-স্পস্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন।
পূর্বকোণ/হোবাইব/মামুন/পারভেজ