রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে আওয়ামী লীগের এক মনোনীত প্রার্থীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় স্থগিত করা হয়েছে চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। যা পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ নভেম্বর।

রবিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে নির্বাচন কমিশন হতে এক ফ্যাক্স বার্তায় স্থগিতাদেশ দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার।

এর আগে শনিবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় চিৎমরম ইউনিয়নের আগাপাড়ায় বাড়িতে ঢুকে চিৎমরম ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী নেথোয়াই মারমাকে গুলি করে হত্যা করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা।

এদিকে ভয়, শঙ্কা আর উৎসবের মধ্য দিয়ে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৪ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য পদে প্রার্থীরা তাদের স্ব- স্ব নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।

রবিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৫ টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র জমা দেবার শেষ সময় ছিল। এদিন সকাল হতে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিস এবং এর আশেপাশে প্রার্থী সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

তবে রবিবার বিকেল ৪.৪৫ মিনিটে নির্বাচন কমিশন হতে এক ফ্যাক্স বার্তায় কাপ্তাইয়ের ৩ নম্বর চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখা হয় বলে জানান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার। আওয়ামী লীগের মনোনয়নধারী এক প্রার্থী নিহত হওয়ায় তৃতীয় ধাপে আগামী ২৮ নভেম্বর এই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হবে বলে তিনি জানান।

এদিকে মনোনয়ন পত্র জমা করতে আসা নাম প্রকাশ না করার সত্বে অনেক আওয়ামী লীগ সমর্থিক ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থী এই প্রতিবেদককে জানান, গত শনিবার রাতে চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মনোনয়নধারী প্রার্থী নেথোয়াই মারমা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে খুন হবার পর এখন আমাদের মধ্যে অজানা আতঙ্ক ভর করছে।

বিশেষ করে চিৎমরম, রাইখালী এবং ওয়াগ্গা ইউনিয়ন পরিষদের প্রার্থীরা আগামী ১১ নভেম্বর নির্বাচনের পূর্বে এলাকায় কি ঘটবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। তারা সকলেই নির্বাচনের আগে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ আনার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।

পূর্বকোণ/মামুন/এএইচ