চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘রাঙামাটিতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পুলিশ নিয়োগ দেয়া হয়েছে’

পূর্বকোণ প্রতিনিধি, রাঙামাটি অফিস

১১ জুলাই, ২০১৯ | ১:৪২ পূর্বাহ্ণ

রাঙামাটির পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি মো. জাবেদ পাটোয়ারীর নির্দেশানুসারে মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং টিমের উপস্থিতিতে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে এবারই প্রথম সর্বোচ্চ সংখ্যক ৯৩ জন পুলিশ সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর আগে রাঙামাটির ইতিহাসে এতগুলো প্রার্থীকে একসঙ্গে নিয়োগ দেয়া হয়নি।
গত মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে রাঙামাটির সকল স্তরের গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (বিআরসি) পদে নিয়োগের ব্যাপারে রাঙামাটির সংবাদকর্মীরা ব্যাপকভাবে প্রচার করায় জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি হয়। যার ফলশ্রুতিতেই একটি স্বচ্ছ ও আর্থিক লেনদেন মুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে মন্তব্য করে এসপি আলমগীর বলেন, আইজিপি স্যার যে নিদের্শনা দিয়েছিলেন তা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে একটি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। মাদক মুক্ত মেধাবী ও সুঠাম দেহের অধিকারী প্রার্থীদেরকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই প্রার্থীরা নিজেদের পদায়নের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত যে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে সেগুলো যাতে পরিচ্ছন্নভাবে হয় এবং কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সেদিকেও কঠোর নজর রাখছে রাঙামাটির পুলিশ বিভাগ।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই নিয়োগে মাত্র ১০ জনকে চাকরিতে নেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল, কিন্তু বিগত নিয়োগ প্রক্রিয়াগুলোতে থেকে যাওয়া সবগুলো মিলে সংরক্ষিত আরো ৮৩টি পদসহ আমরা এবার মোট ৯৩ জনকে নিয়োগ দিয়েছি। ডোপ টেস্টের মাধ্যমেই এ সকল চাকরি প্রার্থীকে পদায়ন করা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর কামাল, এএসপি রণজিৎ কুমার পালিত, রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল হক রনি ও কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক সত্যজিৎ বড়ুয়া। পুলিশ সুপার জানান, যেকোন পর্যায়ে কোন প্রার্থী কর্তৃক দাখিলকৃত তথ্য মিথ্যা, ভুল, প্রার্থীর কোন প্রতারণা প্রমাণ হলে তাকে নিয়োগের অযোগ্য, বহিষ্কার, চাকরিচ্যুতিসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি সবাইকে সর্তক করে দিয়েছিলেন যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন ব্যক্তি বা পুলিশ সদস্য অনিয়ম বা আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ, বিভাগীয় কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কোন ছাড় দেয়া হবে না।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট