চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

চকরিয়ায় ফের হাসি আলমগীরের

চকরিয়া-পেকুয়া সংবাদদাতা

২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ | ১০:৪১ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে পৌরসভা নির্বাচন। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত পৌরসভার পঞ্চম নির্বাচনে বেসরকারিভাবে পৌর পিতা নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী। এ নিয়ে তিনি টানা দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হলেন।

ভোট গণনাশেষে রিটার্নিং অফিসারের তথ্য মতে, বিজয়ী নৌকা প্রতিকের আলমগীর চৌধুরী ১৮টি কেন্দ্রে ভোট পেয়েছেন ২১ হাজার ৪৯০টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাগরিক কমিটির ব্যানারে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জিয়াবুল হক। তিনি ভোট পেয়েছেন ৯ হাজার ৭৬২টি। জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ১১ হাজার ৭২৮টি। ইভিএম পদ্বতিতে চকরিয়া পৌরসভায় অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ হয়েছে প্রায় ৬৬ শতাংশ।

এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন রাশেদা বেগম, ফোরকানা আরা বেগম ও আঞ্জুমান আরা বেগম। সাধারণ কাউন্সিলর পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. নুরুস শফি, ২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. সাইফুল ইসলাম, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে হানিফ ইসলাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জাফর আলম কালু, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ফোরকানুল ইসলাম তিতু, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দু সালাম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল আমিন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মুজিবুল হক ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বেলাল উদ্দিন।

সরেজমিন দেখা গেছে, নির্বাচন চলাকালে সকাল সাড়ে ৯টায় হালকাকারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই কেন্দ্রে ১০টা ৫০ মিনিটে ১২টি বুথে ৪ হাজার ২৫৬ ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ১৪৫ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন বলে জানান কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, কেন্দ্রের বাইরে সামান্য হইচই হলেও ভোটার লাইনের মধ্যে কড়া নিরাপত্তার কারণে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিলো। সকাল ১১টা ও দুপুর দেড়টার দিকে ১ নম্বর ওয়ার্ডের আল রায়ান মাদ্রাসা কেন্দ্রের বাইরে দুই দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। অল্প সময়ের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মাস্টার টিটু সুশীল বলেন, কেন্দ্রের বাউন্ডারির বাইরে দু’বার হইচই শোনা গেলেও ভোটার লাইনসহ কেন্দ্রের মধ্যে তার কোন রেশ পড়েনি। ভোট প্রয়োগ ছিলো স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে।

বিজয়ের পর নৌকার প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই জয় আমার নয়, জননেত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জয়। এই জয় ধারাবাহিক উন্নয়নের জয়। এই জয় পুরো চকরিয়া পৌরসভার আপামর জনগণের জয়।

তিনি আরো বলেন, প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভায় টানা পাঁচ বছর মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে উন্নয়নের মাধ্যমে আমুল পরিবর্তন করেছি। আমি বা আমার পক্ষ থেকে কোন ব্যক্তি পৌরসভার কোন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে অসদাচরণ করেনি। দলমত নির্বিশেষে সবাই উন্নয়নের সফলতা ভোগ করার পাশাপাশি শান্তিময় পরিবেশে বসবাস করতে পেরেছিলো। তাই আমাকে তথা আওয়ামী লীগের নৌকাকে পুনরায় বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন। আমার চেষ্টা থাকবে উন্নয়নসহ নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পৌরসভার সকল স্তরের মানুষের মনে স্থায়ীভাবে ঠাঁই করে নেয়া।

পূর্বকোণ/জাহেদ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট