চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামের সংবাদপত্র শিল্পে বিপ্লব ঘটান ইউসুফ চৌধুরী

নাসিরুদ্দিন চৌধুরী

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ | ১:৪৬ অপরাহ্ণ

পূর্বকোণের জন্মদাতা ইউসুফ চৌধুরী নানা কারণে একজন স্মরণীয় পুরুষ। তিনি পূর্বকোণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেটা অবশ্যই মুখ্য কারণ; কিন্তু আরো কারণ নিশ্চয়ই আছে। হয়তো সেসব গৌণ কারণ। যেমন সিগনেট প্রেস, নিউজফ্রন্ট, চিটাগাং ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি, ডেইরি আন্দোলন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলন ইত্যাদি।

১৯ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মশতবার্ষিকী। ইউসুফ চৌধুরীকে স্মরণ করবার এটি একটি বড় উপলক্ষ। শতবর্ষ একটি মাইলফলক। কোন মহৎ, বৃহৎ মানুষের জন্মশতবার্ষিকী তাঁর স্বদেশ, স্বজাতি ও স্বজাতির জন্য অত্যন্ত গর্বের ও অহংকারের বস্তু। ইউসুফ চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকীও চট্টগ্রামবাসীর জন্য গৌরবের বার্তা বহন করে নিয়ে এসেছে। জন্মশতবর্ষে ইউসুফ চৌধুরীর উত্তর পুরুষদের জানাই উষ্ণ অভিনন্দন।

১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের সংবাদপত্রের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। বহু পুরস্কারে ভূষিত, বহুল প্রশংসিত দৈনিক পূর্বকোণ সেদিন ভূমিষ্ঠ হয়েছিলো। পূর্বকোণের জন্ম চট্টগ্রামের সংবাদপত্র জগতকে গ্রাম্যতা থেকে মুক্ত করে স্বাদ ও রুচি উপহার দিয়েছিলো। চট্টগ্রামের সংবাদপত্র শিল্পের জন্য সত্যিই সেটা ছিলো এক বিপ্লব, মহা উল্লম্ফন। চট্টগ্রামের সংবাদপত্রের শরীরে সেদিনই প্রকৃত আধুনিকতার ছোঁয়া লাগে।

ইউসুফ চৌধুরী ছিলেন মুদ্রণ ব্যবসায়ী। ঝুঁকিমুক্ত নিরাপদ ব্যবসা। দু’ভাইকে নিয়ে ভালো ব্যবসাই করছিলেন। চট্টগ্রামের মুদ্রণ শিল্পে তাঁর সিগনেট প্রেস ছিলো অত্যন্ত নামী একটি প্রতিষ্ঠান। ঝকঝকে তকতকে রুচিশীল ছাপার জন্য অভিজাত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত সিগনেট প্রেস একটি ‘ব্রান্ড-নাম’ হয়ে উঠেছিলো।

এই সুরক্ষা বলয় থেকে তিনি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়ে একটি সাহসী ও ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কারণ একেতো চট্টগ্রামের বাজার ছোট, তদুপরি ষাটে প্রকাশিত দৈনিক আজাদী ছাড়া আর কোন পত্রিকাই টিকে থাকতে পারেনি। ছগীর সাহেব আটাত্তর সালে অফসেট মুদ্রণ প্রযুক্তি নিয়ে ‘নয়াবাংলা’ নামে আট পৃষ্ঠার একটি পত্রিকা প্রকাশ করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে বাজারে সাময়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুললেও শেষ পর্যন্ত পত্রিকার তেজিভাব স্তিমিত হয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়ে। নয়াবাংলার হোঁচট খাওয়ার দৃষ্টান্ত সামনে থাকা সত্ত্বেও ইউসুফ চৌধুরীর কাছে তা পাত্তা পেলো না। তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অবিচলিত থেকে পূর্বকোণ বের করে ফেললেন ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬।

ইউসুফ চৌধুরী কি বোকা ছিলেন? আপাতদৃষ্টিতে অলাভজনক, অনিরাপদ, অনিশ্চিত খাতে তাঁর মতো ঝানু ব্যবসায়ী কেন পুঁজি বিনিয়োগ করতে গেলেন? এখানেই ইউসুফ চৌধুরীর জিৎ। অনেকদিন ধরে সংবাদপত্র বিপণন ব্যবসায় লিপ্ত থাকার অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, স্বাধীনতার পর একটি শিক্ষিত নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠেছিলো, যারা আবার একই সঙ্গে সংবাদপত্র পাঠেও অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে ওঠা এই নতুন প্রজন্মের মন-মানসিকতা, চিন্তা-চেতনা একেবারেই ভিন্ন। দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পত্রিকা পাঠ করতে চাচ্ছিলো। কিন্তু তেমন পত্রিকা তাদের সামনে ছিলো না। ইউসুফ চৌধুরী এই নতুন প্রজন্ম তথা নতুন পাঠকগোষ্ঠীকে টার্গেট করেই পূর্বকোণ প্রকাশ করলেন। সম্পূর্ণ নতুন ভাব-ভঙ্গি, ভাষারীতিতে নির্মিত ও মুদ্রিত পূর্বকোণ প্রথম দিন থেকেই বাজারে আধিপত্য বিস্তার শুরু করলো। নতুন প্রজন্ম তাদের মনের খোরাক পেয়ে লুফে নিলো পূর্বকোণকে।

ইউসুফ চৌধুরী বাজিমাৎ করলেন। চট্টগ্রামের মানুষ একজন আধুনিক, কুশলী, ভবিষ্যৎদ্রষ্টা সংবাদপত্র নির্মাতাকে আবিষ্কার করলো, যিনি ক্রমান্বয়ে একজন নিউজপেপার জায়ান্ট হয়ে উঠবেন।

তাঁর সময়ের অন্যদের চেয়ে তিনি প্রাগ্রসর চিন্তার অধিকারী ছিলেন, যে কারণে পূর্বকোণ প্রকাশ করতে পেরেছিলেন, সেটা না হয় বুঝা গেলো, কিন্তু নতুন পত্রিকা প্রকাশ করে যে ঝুঁকি নিয়েছিলেন, সেই ঝুঁকি কাটিয়ে তাঁর পত্রিকাকে তিনি কিভাবে লাভজনক করে তুলেছিলেন? তিনি অনেক ঝুঁকি নিয়েছিলেন। যেমন শুরুতেই আট পৃষ্ঠা দিয়ে পত্রিকা প্রকাশ করা। আজাদী ছিলো ছয় পাতার পত্রিকা, যার কোনো ফিচার পাতা ছিলো না। পূর্বকোণে প্রথম দিন থেকেই ফিচার পাতা ছিলো। এই ছিলো এক ঝুঁকি। ফিচার পাতা, উপ-সম্পাদকীয় এবং কবি-সাহিত্যিকদের নিয়মিত সম্মানী প্রদান করে সম্মানিত করলেন তিনি। চট্টগ্রামের সংবাদপত্রে এটা ছিলো একেবারেই নতুন। এটা আরেক ঝুঁকি। কারণ শুরুতে পত্রিকা লাভজনক ছিলো না।
তৃতীয় যে ঝুঁকি তিনি নিয়েছিলেন, সেটা হলো নিজে বা তাঁর উপযুক্ত পুত্রদের মধ্য থেকে কাউকে সম্পাদক না করে তিনি মোটা মাইনে দিয়ে ঢাকা থেকে দেশবরেণ্য একজন প্রবীণ সাংবাদিককে সম্পাদক করে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি হলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতার একজন কিংবদন্তী অবজারভারের সাবেক এসোসিয়েট এডিটর, বঙ্গবন্ধুর এবং লেবানন ও ইরাকের রাষ্ট্রদূত কে জি মুস্তাফা। কে জি মুস্তাফার সম্পাদনায় পূর্বকোণ যেদিন মাতৃজঠর থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছিলো, সেদিনই তার রোদনভরা আর্ত চিৎকারে চট্টগ্রামের সংবাদপত্র শিল্পে একটি নতুন আগন্তুকের আগমন বার্তা ধ্বনিত হয়েছিলো। প্রাচীনের খোলস থেকে চট্টগ্রামের সংবাদপত্রকে ডম্বরু বাজিয়ে সেদিন সে আধুনিক যুগে উপনীত করেছিলো। সংবাদ আহরণ, সম্পাদনা ও তীক্ষè শিরোনাম প্রযুক্ত হয়ে পরিবেশিত সংবাদ, মেধাবী ফিচার এবং ঝাঁঝাঁলো সম্পাদকীয়র সমভিব্যবহারে চট্টগ্রামের সংবাদপত্রের জন্য সে এক নতুন দিন, নতুন যুগ। গেটআপ, মেকআপ, ফটো টাইপ সেটারে হেডলাইন, কম্পিউটারে সংবাদবুনন এবং রোটারি অফসেট মেশিনে ঝকঝকে তকতকে ছাপার পূর্বকোণ নতুনের কেতন উড়িয়ে দিয়ে চট্টগ্রামের সংবাদপত্র জগতে বিপ্লব সাধন করেছিলো।

ঢাকা থেকে সম্পাদক নিয়োগের পাশাপাশি ঢাকায় একটি পূর্ণাঙ্গ অফিস খুলে বাংলাদেশের আরেকজন প্রথিতযশা প্রবীণ সাংবাদিক ও সাহিত্যিক ফয়েজ আহমদকে সেই অফিসের আবাসিক সম্পাদক পদে নিয়োগদান করেছিলেন। ফয়েজ আহমদ পূর্বকোণে যোগদান করার ফলে চট্টগ্রামের অন্য পত্রিকা এমনকি ঢাকার পত্রিকার চেয়েও আগে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সংবাদ পরিবেশন করে বাজারজাত করার পাশাপাশি সুখ্যাতি অর্জন করে।
চতুর্থ ঝুঁকি মফস্বল সাংবাদিকতায় মান উন্নয়ন। তিনি প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যেক উপজেলায় সংবাদদাতা নিয়োগ করে তাদের সম্মানী প্রদানের ব্যবস্থাও করেছিলেন।

ইউসুফ চৌধুরী অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্ম দিয়ে পরিশেষে নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছিলেন। নির্ভেজাল দুধ ঘি খাওয়া মানুষ ইউসুফ চৌধুরী অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করলেন সময়ের কী বিস্ময়কর পরিবর্তন! দুধে ভেজাল, খাঁটি গরুর দুধ আর ঘি পাওয়া যাচ্ছে না। দুধে ভেজাল মিশ্রিত হওয়ায় ছেলেমেয়েরা আর পুষ্টি পাচ্ছে না। দুধের ভেজাল সমস্যা নিয়ে ভাবতে ভাবতে নিজেই প্রতিকারের উদ্যোগী হলেন। টাটকা গরুর দুধের সরবরাহের জন্য গরু কিনে গরুর খামার করলেন। দুধের জন্য গরু, সেই গরু পালনের জন্য খামার। একা করলেন না, আরো বহু মানুষকে উৎসাহ ও প্রণোদনা দিয়ে ডেইরি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করতে নিয়ে আসলেন। খামারিদের বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে নানা সমস্যা নিরসনের প্রয়োজনে গড়ে উঠল চিটাগাং ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশন। খামারিদের চাপে পড়ে ইউসুফ চৌধুরীকেই হতে হলো চেয়ারম্যান। চট্টগ্রামে মুদ্রণ ব্যবসায়ী ও পত্রিকা মালিক আরো ছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউই ডেইরি ফার্ম করলেন না, ডেইরি শিল্পের জন্য আন্দোলনে নামলেন না, ইউসুফ চৌধুরী একজনই শুধু ডেইরির মুখপাত্র হলেন। এখানেই তিনি অন্য সকলের চেয়ে চিন্তায়-চেতনায় অগ্রসর মানুষ। এখানেই তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব।

ভেটেরিনারি শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক কোনো সুযোগ-সুবিধা চট্টগ্রামে ছিল না। নামে মাত্র একটা স্কুল বা কলেজ গোছের কিছু ছিল। ইউসুফ চৌধুরী গ্রামের মানুষ। তিনি জানেন বাংলাদেশ গ্রাম প্রধান এবং কৃষিনির্ভর দেশ। কৃষির জন্য গরু, মহিষ দরকার। গরু, মহিষ পালন ও এর রোগব্যাধির চিকিৎসা আবহমান কাল ধরে চলে আসা সনাতন পদ্ধতির ওপর নির্ভর করলে চলবে না। অতএব আধুনিক পদ্ধতিতে গরু-মহিষের লালন-পালন ও তাদের অসুখ-বিসুখের চিকিৎসাবিদ্যা প্রয়োজন। এই উপলব্ধি থেকে ইউসুফ চৌধুরী চট্টগ্রামে ভেটেরিনারি সুশিক্ষার জন্য সোচ্চার হলেন এবং সেজন্য লেখালেখি ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দেন-দরবার করে প্রথমে ভেটেরিনারি কলেজ, পরে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে সক্ষম হলেন। ইউসুফ চৌধুরীই চট্টগ্রামে ডেইরি আন্দোলনের জনক, ভেটেরিনারি শিক্ষার প্রবক্তা এবং ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা।

ইউসুফ চৌধুরীকে চট্টলদরদী বলা হয়। তারও একটা কারণ আছে। পূর্বকোণ প্রকাশের পর থেকে ইউসুফ চৌধুরী এই পত্রিকাটি চট্টগ্রামের মুখপত্র করে তুলেছেন। তিনি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে চট্টগ্রামের সমস্যা খুঁজে বের করতেন এবং পূর্বকোণে তা নিয়ে রিপোর্ট, প্রবন্ধ, ফিচার ছাপাতে লাগলেন। ঢাকা থেকে মন্ত্রী বা উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা চট্টগ্রামে কোন কর্মসূচিতে আসলে ইউসুফ চৌধুরী তাদের গোচরীভূত করার জন্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে সমস্যা ও ফিচার প্রকাশ করতেন। দেশের প্রবেশদ্বার বাণিজ্যিক রাজধানী, দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগর ও সিটি কর্পোরেশন, প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রামের প্রতি সরকারের কোন অবহেলা, অমনোযোগ, ঔদাসিন্য তিনি সহ্য করতেন না। চট্টগ্রামকে তার প্রাপ্য মর্যাদা, উন্নয়ন বরাদ্দ দেয়া না হলে ইউসুফ চৌধুরী গর্জে উঠতেন। তিনি যে একজন অকৃত্রিম চট্টগ্রামপ্রেমী এসব ঘটনায় তা প্রমাণ হয়ে যেত। চট্টগ্রামের প্রতি তাঁর ভালোবাসা, দরদ, সহানুভূতি কখনো চাপা থাকতো না।

আশির দশকে চট্টগ্রাম ছিলো চূড়ান্তভাবে অবহেলিত। সে সময় বিশিষ্ট রাজনীতিক, সমাজসেবী মরহুম এস এম জামালউদ্দিন চট্টগ্রামের প্রতি অন্যায়, অবিচার, অবহেলা ও বিমাতাসুলভ আচরণ বন্ধের দাবিতে ‘বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন গণসংগ্রাম কমিটি’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে চট্টগ্রামের উন্নয়নের দাবিতে হরতাল, অবরোধ, অনশন ও অবস্থান ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিলেন।

নব্বইয়ের দশকে সংগঠনটি নির্জীব হয়ে পড়লে একে চাঙ্গা করে তুলে চট্টগ্রামের অধিকার আদায়ের দাবিতে আবার আন্দোলন-সংগ্রামে অবতীর্ণ হবার সংকল্প গ্রহণ করে জামাল ভাই আমাকে বলেছিলেন ইউসুফ সাহেবকে সংগ্রাম কমিটির চেয়ারম্যান করলে কেমন হয়। আমি বলেছিলাম খুব ভালো হয়। তাঁকে সবাই জানেন, তাঁর একটি সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। জামাল ভাই আমাকে বললেন, তাহলে তুমিই ইউসুফ সাহেবের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে রাজি করাও। আমি ইউসুফ সাহেবের সঙ্গে কথা বলে তাঁর সম্মতি গ্রহণ করে জামাল ভাইকে জানাই। অতঃপর জামাল ভাই তাঁর সংগঠনের সবাইকে নিয়ে পূর্বকোণ অফিসে গিয়ে ইউসুফ সাহেবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করলেন এবং তাঁকে চেয়ারম্যান পদে বৃত করলেন।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট