চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

৭০ ভাগ নিউমোনিয়া রোগীর শরীরে কাজ করছে না ৪টি এন্টিবায়োটিক

ইমাম হোসাইন রাজু 

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ | ১২:২৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার। যেখানে শিশু থেকে শুরু করে তরুণদের মধ্যেও এর ব্যবহার বেশি হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে কমছে এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতাও। চট্টগ্রামের একদল গবেষকের গবেষণায় দেখা গেছে, ৭০ ভাগ নিউমোনিয়া রোগীদের শরীরে ব্যবহৃত চারটি এন্টিবায়োটিকই কার্যকারিতা হারিয়েছে। এ হার হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে অনেক বেশি।  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের এক গবেষণায় এসব তথ্য পর্যবেক্ষিত হয়। গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে প্লস ওয়ান শীর্ষক আন্তর্জাতিক জার্নালে। যেখানে ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের শুরু পর্যন্ত সহা¯্রাধিক নিউমনিয়া রোগীর মধ্যে চালানো চট্টগ্রামের একদল গবেষকের গবেষণায় এসব তথ্য ওঠে আসে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক ও গবেষক ড. আদনান মান্নান ও মাহবুব হাসান এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নাহিদ সুলতানা, ও নবজাতক নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রের (এনআইসিইউ) পরিচালক ডা. ওয়াজির আহমেদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় এই গবেষণা। গবেষণাগারে কাজটি করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা শিক্ষার্থী আফরোজা আকতার তন্বী।

গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি চারজন নিউমোনিয়া আক্রান্ত পুরুষের মধ্যে তিনজনের শরীরেই মাল্টিড্রাগ রেজিসটেন্স তথা তিনটি বা তার অধিক এন্টিবায়োটিক অকার্যকর দেখা গেছে। গবেষণায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে ক্লেবসিয়েলা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাধিক ব্যবহৃত ২০ টি এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধ ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করা হয়। এতে সেফুরিক্সিম, সেফিক্সিম, সেফটেক্সিম ও সেফটাজিডিম গোত্রের এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা সবচেয়ে কম পাওয়া গেছে।

এই গবেষণার অর্থায়ন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও প্রকাশনা দপ্তর এবং সহায়তায় ছিল ডিজিজ বায়োলজি এন্ড মলিকুলার এপিডেমিওলজি রিসার্চ গ্রুপ চিটাগাং।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট