চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সীতাকুণ্ডে ৯ পর্যটককে নির্মম নির্যাতন, গ্রেপ্তার ১১

সীতাকুণ্ড সংবাদদাতা

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ | ৮:৩৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৯ পর্যটককে নির্মমভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা। পরে আহত অবস্থায় এসব পর্যটককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী। পরে ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে বাড়বকুণ্ডের বিএন সোনারগাঁও ফিলিংস্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আবদুল মোতালেব (৩৭), সাইফুল ইসলাম (৩৪), মো. মহিউদ্দিন (৩০), সালেহ আহম্মদ (৫৫), মো. হাসান (১৯), মো. মোশারফ হোসেন (২৫), মো. নুর নবী (২৪), মো. সাকিব হোসেন (২২), মো. শাহাদাত হোসেন (৩০), শান্ত চৌধুরী (১৯) ও ফয়সাল উদ্দিন রনি (১৮)।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পর্যটক মইন হাসান খান জানান, ‌গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পড়ুয়া ৯ ছাত্র রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার বেড়ানোর উদ্দেশ্যে পাঁচটি মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা হন। তারা সেসব স্থান ভ্রমণ করে বাড়ি ফিরছিলেন। বুধবার রাতে তারা সীতাকুণ্ড উপজেলা অতিক্রম করার সময় বাড়বকুণ্ড এলাকায় বিএন সোনারগাঁও পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি নিতে যায়। এ সময় পেট্রোল পাম্পের পাশে প্রস্রাব করতে যাওয়া নিয়ে মুজাদ্দিত উল মুবিন (২২) নামের এক ছাত্রকে প্রথমে গালিগালাজ ও পরে মারধর শুরু করে পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা।

তিনি আরও জানান, পরে আহত মুজাদ্দিত উল মুবিনসহ অন্যরা ওই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে মুবিনের সঙ্গী অন্য ৮ ছাত্রকেও মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে মারধর করে পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা। তাদের সঙ্গে গাড়িচালক-হেলপারও ছিল। পরে শিক্ষার্থীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ তাদেরকে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করে এবং হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্যাতিত শিক্ষার্থী মইন হাসান খান বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএন সোনারগাঁও পেট্রোল পাম্পের ১১ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ। তিনি পূর্বকোণকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের এসব ছাত্ররা মোটরসাইকেল জার্নির কারণে শরীরে নানা-রকম নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করছিলেন। নইলে পেট্রোল পাম্পের কর্মী ও কিছু গাড়ি চালক-হেলপার তাদেরকে যে নির্মম নির্যাতন করেছিল তাতে যে কেউ মারা যেতে পারত।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এক ছাত্র মামলা দায়ের করলে আমরা ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছি।

পূর্বকোণ/সৌমিত্র/মামুন/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট