কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে পরিচালনা করা, আর কোন একটি দেশ পরিচালনা করা সমান। যা বাংলাদেশ সরকার সবার সহযোগিতা নিয়ে বাস্তবায়ন করে চলেছে। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক ফেরত আসা রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক সংযোগ স্থাপন করতে হবে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কাজ করে চলেছে। চলমান সকল কাজের পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানসিক পরিবর্তনে বিটার সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিরাট ভূমিকা পালন করতে পারে। যা বর্তমানে ইউনিসেফের সহায়তায় বিটা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
শিশু সুরক্ষায় সাংস্কৃতিক উদ্যোগের কার্যকারিতা এবং সম্ভাবনার নবদিগন্ত শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপরোক্ত মন্তব্য গুলো করেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম এনডিসি। গত সোমবার কক্সবাজারের হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্টে ইউনিসেফের সহায়তায় বিটা এই কর্মশালার আয়োজন করে। বিটা কর্তৃক পরিচালিত বিগত ১ বছরের প্রকল্প কার্যক্রমের উপর পরিচালিত একটি গবেষণার প্রাপ্ত ফলাফল উপস্থাপন ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের সুপারিশ গ্রহণ ছিল এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্যে। গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন গবেষক মৌসুমি চৌধুরী। কর্মশালায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন বিটার নির্বাহী পরিচালক শিশির দত্ত। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফ কক্সবাজার চাইল্ড প্রোটেকশান ম্যানেজার ইউলিয়াম কলি ।
উপস্থিত অংশগ্রহণকারী অন্যান্যরা হলেন বিটার কর্মী প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. হারুন-অর-রশিদ, ফিন্যান্স ম্যানেজার ফজলুল হক নিজাম, ট্রেইনিং কো-অর্ডিনেটর মোর্শেদ আলম ও হিসাব কর্মকর্তা বিজয় কুমার দে প্রমুখ।