চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

২৫ মাঠ-পার্ক করবে চসিক

ইফতেখারুল ইসলাম

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ | ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

নগরীতে ২৫টি বিনোদনকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এরমধ্যে রয়েছে খেলার মাঠ, পুকুর, দিঘি, পার্ক এবং খালি জায়গা। এ লক্ষ্যে প্রাথমিক জরিপকাজ সম্পন্ন করে ডিজাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকার যে স্থাপত্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হাতিরঝিলের সৌন্দর্যবর্ধনের ডিজাইন করা হয়েছে চসিক একাজে সেই প্রতিষ্ঠানকেই নিয়োগ দিয়েছে।
চিহ্নিত স্থানসমূহ হল, আগ্রাবাদ ডেবা, জোড়া দিঘি, ভেলুয়ার দিঘি, হালিশহর কে ব্লক খেলার মাঠ, আই ও জে ব্লক খেলার মাঠ, এ ব্লক খেলার মাঠ, পলোগ্রাউন্ড কলোনি মাঠ, বহদ্দারহাট বহদ্দারবাড়ি পুকুর এবং সংলগ্ন আরেকটি পুকুর, শাহজাহান মাঠ, শাহজাহান মাঠের অদুরে শেখ রাসেল পার্ক, ঠাণ্ডাছড়ি, দেওয়ানহাট ওভারব্রিজের নিচে রেললাইন সংলগ্ন একটি পার্ক, বক্স আলী রোডে একটি পার্ক, কলসি দিঘির পাড়, পাহাড়তলী মিনারের পাশে ১৬ গণ্ডা জায়গা আছে সেখানে বিনোদন কেন্দ্র করা হবে, পাহাড়তলী ঈদগাহ মাঠ। চরচাক্তাই স্কুল সংলগ্ন খেলার মাঠ এবং তার অদুরে একটি পার্ক।
জানতে চাইলে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী পূর্বকোণকে বলেন, নির্বাচনের সময় তিনি যে ইশতেহার দিয়েছিলেন সেখানে এলাকাভিত্তিক পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র এবং মাঠ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাউন্সিলরদের সহযোগিতায় এলাকাভিত্তিক ওপেন স্পেস খুঁজে বের করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু স্পেস চিহ্নিত করে ডিজাইনের কাজ শুরু করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে আরো স্পেস খুঁজে বের করে উন্নয়ন ও সংস্কার করা হবে।
চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর পূর্বকোণকে বলেন, প্রাথমিক ডিজাইন ড্রয়িং আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। এলাকার লোকজনের সাথে বসে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। সিটি কর্পোরেশন উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ করে দেবে। তবে এসব কেন্দ্র পরিচালিত হবে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী নারী-পুরুষ যাতে হাঁটতে পারে, খেলতে পারে, বিকালে একটু ঘুরতে পারে সেই বিষয়টি চিন্তা করেই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। ডিজাইন করছে বৃত্তি নামে একটি প্রতিষ্ঠান। চুয়েট এবং প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সার্ভে সম্পন্ন হয়ে গেছে। বৃত্তি নামের প্রতিষ্ঠানটি ঢাকার হাতিরঝিল প্রকল্পের ডিজাইনও করেছিল। আগামী দুই মাসের মধ্যে ডিপিপি তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের ওপেন স্পেসগুলো মানুষ রাতের বেলা নিরাপদবোধ করেন না। পর্যাপ্ত আলোর অভাবেই মানুষ রাতের বেলা পার্কগুলো ব্যবহার করতে পারেনা। সেই সমস্যা দূর করে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হবে। বসার জায়গা করা হবে। সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। চিহ্নিত স্থানসমূহের মালিকানা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কিছু জায়গা আছে। পুকুর ব্যক্তি মালিকানাধীন হলেও এখন ভরাট করার সুযোগ নেই। আইনেই পুকুর ভরাট বন্ধ করা হয়েছে। তাই পুকুর পাড়গুলো সুন্দর করে সাজিয়ে দিলে পুকুর মালিকের কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ সিটি কর্পোরেশন করে দিলেও মালিকানা ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানেরই থাকবে। এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়েরও কিছু জায়গা আছে। বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথেও আলোচনা চলছে। এখানে সিটি কর্পোরেশন উন্নয়ন ও সংস্কার করে দিলেও মালিকানা পরিবর্তন হবে না।

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট