চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামে ভরা মৌসুমেও ‘অলস’ জেলেরা

মোহাম্মদ আলী

৪ আগস্ট, ২০২১ | ১২:৪০ অপরাহ্ণ

মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরও বৈরি আবহাওয়ার কারণে সাগরে যেতে পারছে না জেলেরা। ফিশিং বোট ও ট্রলারগুলো অলস বসে আছে। এ কারণে বাজারে মিলছে না সামুদ্রিক মাছ।
সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও বৃদ্ধির স্বার্থে প্রতিবছর ২০ মে হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে সকল ধরনের নৌযানে সব প্রকারের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকে। এরপরই শুরু হয় মৎস্য আহরণ। কিন্তু এ বছর বৈরি আবহাওয়ার কারণে তার ব্যত্যয় ঘটেছে। নির্দিষ্ট মেয়াদশেষেও সাগরে মৎস্য আহরণ করতে পারছে না জেলেরা। নিষেধাজ্ঞাশেষে কিছু জেলে সাগরে গেলে তাদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ে জাটকা ইলিশ। এতে হতাশ হন ব্যবসায়ী ও জেলেরা। এরপর থেকে লেগে আছে বৈরি আবহাওয়া। আগে থেকে প্রস্তুত থাকার পর দফায় দফায় বিরূপ আবহাওয়ার কারণে জেলেরা সাগরে যেতে পারছে না। এ কারণে মৎস্য আড়ত ও বাজারে কোথাও সামুদ্রিক মাছের দেখা মিলছে না। মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, সারাদেশে যান্ত্রিক ফিশিং বোট রয়েছে প্রায় ৩২ হাজার। এর মধ্যে চট্টগ্রামে আছে প্রায় তিন হাজার। চট্টগ্রামে ফিশিং ট্রলার রয়েছে প্রায় ২৩০টি। প্রতিদিন এসব ফিশিং বোট ও ট্রলার সাগরে মাছ আহরণ করে। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ ধরে বৈরি আবহাওয়ার কারণে সাগরে যেতে পারছে না ফিশিং বোট ও ট্রলার। এতে ভরা মৌসুমেও মিলছে না সামুদ্রিক মাছ। জানতে চাইলে ফিরিঙ্গিবাজার নতুন ফিশারিঘাটের আড়তদার হাফেজ মোহাম্মদ ইসমাইল দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে সাগরে যেতে পারছে না জেলেরা। ভরা মৌসুমে মাছ নিয়ে ৭০ থেকে ১০০টি ফিশিং বোট আসে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ৫ থেকে ৬টি করে বোট আসছে। এর মধ্যে লইট্টা মাছের পরিমাণই বেশি। তবে আশার কথা হচ্ছে আগামী তিনদিন পর আরবি মাসের ২৬ তারিখ থেকে পূর্ণিমার ‘জো’ শুরু হবে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে তখন থেকে সাগরে প্রচুর মাছ পড়বে। তার আগে জেলেরা বোট নিয়ে সাগরে যাবে। এ প্রসঙ্গে সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে সাগরে যেতে পারছে না যান্ত্রিক ফিশিং বোটগুলো। তবে এখন কিছু কিছু যাওয়া শুরু করেছে। পাশাপাশি ফিশিং ট্রলারগুলো সাগরে যাচ্ছে। তাই আবহাওয়া ঠিক থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাজারে সামুদ্রিক মাছের পরিমাণ বাড়বে।
চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য অফিসার ফারহানা লাভলী দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, পূর্ণিমার ‘জো’ শুরু হচ্ছে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে আশা করি জেলেরা এবার সাগরে মাছ মারতে পারবে।

 

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট