চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতা : ক্ষতবিক্ষত চট্টগ্রাম নগরীর ৪০ কি.মি. সড়ক

ইফতেখারুল ইসলাম

৪ আগস্ট, ২০২১ | ১২:২৪ অপরাহ্ণ

জলাবদ্ধতায় নগরীর নিচু এলাকার অধিকাংশ সড়ক ও অলি-গলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত বৃষ্টিতে ৪০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেরামতে চসিকের ব্যয় হবে ১০০ কোটি টাকা। সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে পূর্বকোণকে বলেন, বাধার কারণে খালে পানি নামতে পারছে না। অথচ সড়কে দীর্ঘক্ষণ পানি জমে থাকছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, নগরীর আগ্রাবাদ চৌমুহনী থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত খুবই খারাপ অবস্থা। সল্টগোলা ক্রসিং থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত অবস্থাও খারাপ। মুরাদপুর থেকে অক্সিজেন সড়কের বিভিন্ন অংশের ছাল-বাকল উঠে গেছে। সদরঘাট থেকে মাঝিরঘাট হয়ে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা। মনসুরাবাদ থেকে পাহাড়তলী পর্যন্ত সড়কের অংশটির বাজে অবস্থা। ডিটি রোডের মাদারবাড়ি অংশে বড় বড় গর্ত দেখা গেছে। বাকলিয়া এলাকার বেশির ভাগ অলিগলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাকলিয়ার ওমর আলী মাতব্বর রোডে গতকাল রাত ৯ টায়ও পানি জমে ছিল। এই সড়কের বেশিরভাগ বিটুমিন ধুয়ে-মুছে গেছে। খাজা রোডও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জানতে চাইলে সিটি মেয়র বলেন, নগরীর অধিকাংশ প্রধান সড়ক এবং অলিগলিতে পানি জমার কারণে সড়কগুলো ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাচ্ছে। সিডিএ’কে বার বার অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন খালের বাঁধ কেটে দেয়। তারা কিছু বাঁধ কেটেছেও। তবে যেখানে কেটেছে সেখানে পলিথিন আটকে পানি নিষ্কাশন এক প্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে খাল পানিতে পরিপূর্ণ না হলেও নগরীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে থাকছে। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে গর্ত ভরাটের কাজ চলছে। তিনি জানান, বিটুমিন এবং পানির সম্পর্ক চরম শত্রুর মত। বিটুমিন পানি সহ্য করতে পারে না। সড়কে পানি জমে থাকলে বিটুমিন সহজেই উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এই জলাবদ্ধতা নগরীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট