চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

চার মাসের ব্যবধানে চালু হলো বেসরকারি দ্বিতীয় নতুন জেটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ জুলাই, ২০২১ | ১২:০৪ অপরাহ্ণ

চার মাসের ব্যাবধানে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণপাড়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ড্রাই ডকের দ্বিতীয় জেটিতে ভিড়েছে স্ক্র্যাপ পণ্যবাহি জাহাজ ‘গিউলিয়া-১’। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ২৪ হাজার টন স্ক্র্যাপ নিয়ে ৮ দশমিক ২ মিটার ড্রাফটের মালটা পতাকাবাহী জাহাজ ‘গিউলিয়া-১’ ১০৫ মিটার দৈর্ঘ্যের কর্ণফুলী ড্রাই ডকের দ্বিতীয় জেটিতে ভিড়ে। এর আগে জাহাজটি ৯ হাজার টন পণ্য বর্হিনোঙ্গরে খালাস করে।
চলতি বছরের মার্চের ৩০ তারিখ কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণপাড়ে বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা প্রথম জেটিটি উদ্বোধনের পর থেকে গত চার মাসে প্রায় দেড় লাখ টন পণ্য খালাস হয়েছে বলে জানান কর্ণফুলী ড্রাই ডক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ। এবার দ্বিতীয় জেটির আনুষ্ঠানিক যাত্রার মাধ্যমে একই সাথে ২টি জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের সুযোগ সৃষ্টি হলো। গতকাল দ্বিতীয় জেটি উদ্বোধনের সময়েও প্রথম জেটিতে ১৭৭ মিটার লম্বা ও সাড়ে ৮ মিটার ড্রাফটের ‘সিপার্ল’ নামের কার্গো জাহাজ পণ্য খালাস করছিল।
এদিকে, ঝুঁকিপূর্ণ চট্টগ্রাম বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থের ৬টি জেটি সংস্কার কাজ করার জন্য গত জুনের ২৭ তারিখ থেকে স্ক্র্যাপ পণ্যবাহী জাহাজ ভেড়ানো সাময়িক বন্ধ রাখছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে বন্দরের জেটি ব্যবহার করতে না পারলেও কর্ণফুলি ড্রাই ডকের জেটি ব্যবহার করে সহজেই স্ক্র্যাপ পণ্য খালাস করতে পারছে এর আমদানিকারকেরা। এতে অপেক্ষায় থাকতে না হওয়ার কারণে অতিরিক্ত ব্যায় থেকেও রক্ষা পাচ্ছে জাহাজ কোম্পানি ও আমদানিকারকগণ। বেসরকারি জেটি প্রসঙ্গে কর্ণফুলী ড্রাই ডক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ বলেন, দেশে যে পরিমান পণ্য আমদানি বেড়েছে সে পরিমানে বন্দরের জেটি বাড়েনি। তাই বিদেশী জাহাজ এসে দিনের পর দিন অপেক্ষায় থাকতে হয় বার্থিং পাওয়ার জন্য। আর একদিন জাহাজ অপেক্ষায় থাকার জন্য ১৫ থেকে ২০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। এই বিপুল পরিমান ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে এবং দেশি ব্যবসায়ীদের আমদানি রপ্তানির কাজ সহজ ও সাশ্রয় করতে বেসরকারিভাবে জেটি নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। যার একটি জেটি গত ৩০ মার্চ উদ্বোধন হলো এবং দ্বিতীয়টি আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) যাত্রা শুরু করলো।
তিনি আরো বলেন, মোট ৫০ একর জায়গায় নির্মিত এই জেটিতে এলাকায় একটি কনটেইনার ইয়ার্ড ও জেটি নির্মান নির্মানের পরিকল্পনা আছে। এছাড়া দুটি জেটির পাশাপাশি আরো একটি জেটি নির্মানেরও পরিকল্পনা আছে। এখান থেকে পণ্য পরিবহন সহজ হবে। অদুর ভবিষ্যতে কর্ণফুলী টানেল তৈরি হয়ে গেলে পণ্য পরিবহন আরো দ্রুততার সাথে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে।

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট