প্রায় ছয় বছর ধরে স্বামী হত্যার মামলায় লড়ে যাচ্ছেন মোবাশ্বেরা। মামলার আসামিদের কোণঠাসা করতে নিজেই ঘরগৃহস্থীর কাজ ছেড়ে নেমেছেন রাজনীতিতে। চলতি বছর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। এত কিছুর পরও নিজ চোখে দেখে যেতে পারলেন না স্বামী যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান বাদলের হত্যার বিচার।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় নগরীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে মোবাশ্বেরা বেগমের।
এর আগে গত ২০ জুলাই করোনার উপসর্গ নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার করোনা পজিটিভ আসে। পাশাপাশি তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে মোবাশ্বেরা ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে গেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাতে যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান বাদল এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সন্ত্রাসবিরোধী কমিউনিটি পুলিশিংয়ের তালিকা প্রণয়ণ শেষ করে শেরশাহ আওয়ামী লীগ অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় মেহেদীর স্ত্রী মোবশ্বেরা মিশু সাদ্দামকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের বিরুদ্ধে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা করেন। মেহেদী হাসান বাদল চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মামলায় হুকুমের আসামি করা হয় দুবাই প্রবাসী শফিকুল ইসলাম শফিকে।
পূর্বকোণ/আরআর/এএইচ