চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

৬৫ দিনে নৌ পুলিশের ৩ হাজার ৪৩ অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ জুলাই, ২০২১ | ১২:৪৯ অপরাহ্ণ

সামুদ্রিক মাছের অভয়ারণ্য সৃষ্টি ও প্রজননস্থল নিরাপদ রাখতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে বাংলাদেশ নৌ পুলিশ। সমুদ্রসীমায় মাছ আহরণ বন্ধে গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনে নৌ পুলিশ ৩০৪৩টি অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা, ১৪০ জনকে ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৭০০ টাকা, ৮টি ট্রলার মালিককে ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা, ১৫টি নৌকা মালিককে দেড় লাখ টাকা এবং ৮টি বরফকল মালিককে ৪২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় অভিযান চালিয়ে তিন কোটি ৪৩ লাখ ৪১ হাজার ১৮০ মিটার অবৈধ জালও উদ্ধার করা হয়। যদিও নৌ পুলিশ বলছে, এসব অভিযানে মামলা ও জরিমানার চেয়ে জনসচেতনতাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে কাজে লাগিয়ে সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে নৌ পুলিশ।

অভিযানের অংশ হিসেবে বরফকল, আড়ৎ, বাজার, ফিশিংবোট ঘাট, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও মাছ ঘাট নিয়মিত পরিদর্শন করা হচ্ছে। নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে বরফকল মালিক সমিতি, ফিশিংবোট মালিক সমিতি ও জেলেদের সঙ্গে সচেতনতামূলক সভার আয়োজনের মাধ্যমে তাদের নিষিদ্ধকালীন সময়ে সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণ না করার জন্য সচেতন করা হয়। সমুদ্রসীমায় ৬৫ দিনের অভিযান প্রসঙ্গে নৌ পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিষিদ্ধকালীন সময়ে মাছ শিকার বন্ধে নৌ পুলিশ গতানুগতিক পুলিশিংয়ের বাইরে এবার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় অবস্থিত সব বরফকল বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নেয়। এছাড়া ইন্টেলিজেন্স বেইজড পুলিশিং তথা জেলে পল্লী থেকে যাতে কেউ গোপনে সমুদ্রে যেতে না পারে এবং কোনো ট্রলার ঘাট ছেড়ে যেতে না পারে কিংবা কোনো সংঘবদ্ধ দল সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করতে না পারে সে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।

নৌ পুলিশের কর্মতৎপরতা এবং জনগণের সম্পৃক্ততায় এ বছর নিষিদ্ধকালীন সময়ে সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। এতে গত বছরগুলোর তুলনায় সমুদ্রে ইলিশ, চিংড়ি ও চিংড়ি জাতীয় মাছসহ সামুদ্রিক মাছের পরিমাণ ব্যাপক বেড়েছে। এই সামুদ্রিক মাছ মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে দেশের ‘ব্লু ইকোনমি’তে এক নতুন সম্ভাবনার ক্ষেত্র সৃষ্টিতে ভূমিকা পালন করবে।

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট