চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

অবশেষে গ্রেপ্তার সেই কুলসুমী

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ জুলাই, ২০২১ | ১২:৪২ অপরাহ্ণ

সন্তানদের ভরণ-পোষণের ‘মিথ্যা আশ্বাসে’ অন্যের হয়ে তিন বছর জেল খেটেছিলেন মিনু আক্তার। যার হয়ে মিনু জেল খেটেছিলেন অবশেষে সেই মামলার মূল আসামি কুলসুমী আক্তার কুলসুমীকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুমী লোহাগাড়া উপজেলার গৌরস্থান মাঝের পাড়া আহাম্মদ মিয়ার বাড়ির আনু মিয়ার মেয়ে। তবে তার বর্তমান ঠিকানা কোতোয়ালী থানাধীন রহমতগঞ্জ সাঈদ ডাক্তারের ভাড়া বাড়ি।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ভোরে নগরীর পতেঙ্গা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে পতেঙ্গা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোহিনুর আক্তার নামে এক গৃহকর্মী হত্যা মামলার আসামি কুলসুমী আক্তার কুলসুমীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আজ আদালতে পাঠানো হবে। গত তিন বছর ধরে তার হয়ে জেল খেটেছিলেন মিনু নামে আরেক নারী। তবে ১৬ জুন আইনি প্রক্রিয়া শেষে মিনু কারাগার থেকে মুক্ত হন। মুক্ত হওয়ার পর ২৮ জুন রাতে বায়েজিদ সংযোগ সড়কে তিনি দুর্ঘটনায় নিহত হন।’

আদালত সূত্রে জানা যায়, নগরের রহমতগঞ্জে একটি বাসায় ২০০৬ সালের জুলাই মাসে মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টস কর্মী পারভিনকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এরপর রহমতগঞ্জে একটি গাছের সাঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পারভিন আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন গার্মেন্টস কর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। পরে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন জমা দেয়।

২০১৭ সালে নভেম্বর তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে পারভিন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমীর পরিবর্তে মিনু ২০১৮ সালের ১২ জুন কারাগারে যান। গত ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান নারী ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে মিনু কোনো মামলার আসামি নন বলে জানান।

পূর্বকোণ/পিআর/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট