চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

করোনা আক্রান্ত নারীর শরীরে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ জুলাই, ২০২১ | ৯:৩৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো ‘মিউকরমাইকোসিস’ আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। চিকিৎসকদের ভাষায় ‘মিউকরমাইকোসিস’ এটি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মতোই। যদিও এখন পর্যন্ত চিকিৎসকরা একে ‘সাসপেক্টেড ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ হিসেবেই চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। ষাটোর্ধ্ব ওই রোগী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত পাঁচদিন আগে ওই নারীর স্বামী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরমধ্যে গত ২২ জুলাইয়ে ছত্রাকজনিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ওই নারী। প্রথমে চর্ম রোগ বিভাগে চিকিৎসা নিলেও গত চারদিন ধরে চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। যিনি করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর ‘মিউকরমাইকোসিস’ রোগে আক্রান্ত হন। যদিও চিকিৎসকরা এখন পর্যন্ত এটি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কিনা, তা নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে রোগীর নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সুযত পাল পূর্বকোণকে বলেন, ‘রোগীর অবস্থা ও ধরণ দেখে বুঝা যায় এটি মিউকরমাইকোসিস রোগ। তবে এটি পুরোপুরি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কিনা, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রিপোর্ট পেলেই বলা যাবে। এখনই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বলা যাবে না। আমরা উপসর্গ হিসেবেই ওই নারীকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।’

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে ২৫ জুন তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। ৩ জুলাই কোভিড পজিটিভ হন। ১৫ জুলাই কোভিড নেগেটিভ হলেও নানা শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়। পরে স্বজনরা তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসকেরা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এই রোগীর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছে ধারণা করছেন।

এদিকে, হাসপাতালে রাখা হলেও প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকটের কারণে চিকিৎসা ব্যহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যরা। ওই নারীর মেয়ে জানান, চিকিৎসার জন্য এমপোটেরিসিন-বি ইনজেকশন প্রতিদিন ৫ ভায়াল করে মোট ১৪ দিন প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু কোথাও তা পাচ্ছি না।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবদুস সাত্তার পূর্বকোণকে বলেন, রোগটি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মতোই। তবে এটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উপসর্গ হিসেবেই এখন চিকিৎসা চলছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ মে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ৪৫ বছর বয়সী এক রোগীর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর ২৩মে ৬০ বছর বয়সী আরেকজনের শরীরেও ছত্রাকজনিত রোগটি শনাক্ত হয়। এরমধ্যে গত ২২ মে একজন মারা যান। যা দেশের প্রথম মৃত্যু হিসেবে ধরা হয়।

পূর্বকোণ/মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট