চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বেড়েছে

অনলাইন ডেস্ক

২৭ জুলাই, ২০২১ | ১:২৫ অপরাহ্ণ

গত ৭-৮ দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত হওয়ায় কাপ্তাই হৃদের পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বেড়েছে।  কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফিট এমএসএল (মীন সী লেভেল)। 

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সকাল নয়টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের পানি থাকার কথা ৮৪ দশমিক ৬৪ ফিট এমএসএল। কিন্তু পানি আছে ৮৪ দশমিক ২৪ ফিট এমএসএল। 

বর্তমানে কেন্দ্রের চারটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনের  কারণে কাপ্তাই হ্রদ থেকে কেন্দ্রের পাওয়ার হাউজ দিয়ে প্রতিদিন ২২-২৫ হাজার ফিট কিউসেফ পার সেকেন্ড পানি কর্ণফুলী নদীতে বের হচ্ছে।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদে পানির লেভেলের উপরেই নির্ভর করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা। পাঁচটি ইউনিট সম্পন্ন পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ২৩০ মেগাওয়াট।

গত সপ্তাহেও কেন্দ্রের দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো ১০০ মেগাওয়াটের নিচে। গত কয়েকদিনে চারটি ইউনিটে উৎপাদন হচ্ছে ১২২-১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে ২নম্বর ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে।  অবশিষ্ট ৪টি ইউনিট সচল আছে। 

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আবদুজ্জাহের বলেন, ‘প্রতিদিন ১২২-১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে চার ইউনিটে। তবে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৩ এমএসএল কম আছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের ধারাবাহিকতা থাকলে হ্রদের পানির পরিমাণও কমতে থাকবে। হ্রদে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি  পেলে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে। ’

১৯৬২ সালে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের বৃহত্তম জলসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প ‘কর্ণফুলী বহুমুখী প্রকল্প’-এর অংশ হিসেবে স্থাপিত হয়েছে। এ বহুমুখী প্রকল্প দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ছাড়াও কাপ্তাই বাঁধের ফলে নিম্নাঞ্চলে সেচ ও বন্যা ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট