চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

কোভিড-১৯ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাঠে থাকবে চসিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ জুলাই, ২০২১ | ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেমনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের ক্রম উর্দ্ধগতির পাশাপাশি ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে চসিক আজ মঙ্গলবার থেকে জরুরী ভিত্তিতে কার্যক্রম ও অভিযান পরিচালনা শুরু করবে। এই লক্ষ্যে প্যানেল মেয়রের নেতৃত্বে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি প্রয়োজনীয় পর্যবেক্ষণ, তদারকী ও কর্মপন্থা বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে। গতকাল সোমবার ভার্চুয়াল সংযোগের মাধ্যমে টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৬ষ্ঠ সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কমিটির আহবায়ক প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, সদস্যরা হলেন, কাউন্সিলর মোবারক আলী, জহুরুল আলম জসিম, আবদুস সালাম মাসুম, চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ এবং মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব এখনো ঢাকার মত প্রকট নয়। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে যেসব অতীব জরুরী পদক্ষেপ নেয়া দরকার তা প্রয়োগ করতে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের জনবলকে সক্রিয় রাখতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এডিস মশা প্রজননের উৎসগুলো প্রতিষেধক ওষুধ ছিটানো এবং নালা-নর্দমা-খাল ও জলাশয় আবর্জনামুক্ত রাখতে যাবতীয় কর্মপন্থা চলমান রয়েছে। এ ব্যাপারে কাউন্সিলরদের নিজ নিজ ওয়ার্ডে তদারকী ও নজরদারীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মেয়র বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণের ক্রম উর্দ্ধগতি সামাল দিতে চলমান কঠোর লক ডাউনে কোথাও যাতে স্বাস্থ্য বিধি ও সরকারি নির্দেশনা লঙ্খিত না হয় সে ব্যাপারে চসিকের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে। চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষেদেও সকল প্রতিনিধি, কর্মকর্তা ও জনবল কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবধরণের ইতিবাচক প্রয়াস চলমান রেখেছে। এ ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্থাপনা ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে নগরবাসীর আকাঙ্খা অনুযায়ী তার সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধনে কাউন্সিলরদের সহায়ক ভূমিকা পালনে আহ্বান জানান।
নগরীর আলোকায়নের ক্ষেত্রে যে-সকল ব্যত্যয়, অপ্রতুলতা ও অপর্যাপ্ততা বিদ্যমান তা নিরসনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। অনেক স্থানে বৈদ্যুতিক বাতি অচল হয়ে আছে, কিছু এলাকায় বৈদ্যুতিক তার চুরি হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিভাগ আলোকায়ন পুনঃস্থাপনে জরুরী ভিত্তিতে কাজ শুরু করবে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে যে সকল অভ্যন্তরীন সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বৃষ্টি কমে এলে সেসব সড়ক মেরামত করা হবে। বেশি ক্ষতিগ্রস্থ সড়কের খানা খন্দকগুলো ইটের খোয়া দিয়ে ভরাট করা হবে। স্ট্যান্ড রোডের কাজ সমাপ্তির পথে। যে অংশগুলো এখনো চলাচল অনুপযোগী সেগুলো দ্রুত সংস্কার করা হবে। পিসি রোডের অসমাপ্ত কাজ নভেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে হবে। এখানে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শেখ মুজিব রোডের যে অংশে সিডিএ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সেখানে স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। এই অংশগুলো দ্রুত মেরামত করে দিতে সিডিএকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মশকনিধন কার্যক্রম সম্পর্কে মেয়র বলেন, ব্যবহৃত তরল ওষুধের কার্যকারিতা যাচাইয়ে চবি’র বিশেষজ্ঞ টিমের প্রতিবেদন পাওয়া মাত্র প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রস্তাবিত আয়বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে বলেন, চসিকের মালিকানাধীন অব্যবহৃত জায়গায় কি ধরণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায় সে ব্যপারে কাউন্সিলরগণ মতামত ও পরামর্শ দেবেন।
তিনি জানান, কোভিড-১৯মোকাবেলায় চসিকের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশনে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলছে। আক্রান্ত রোগী পরিবহণে এম্বুলেন্স সাভির্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদানসহ সব ধরণের চিকিৎসা সেবা প্রস্তুত রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এখন পর্যন্ত নগরীতে চসিকের ব্যবস্থাপনায় সাড়ে ৪ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে, যা অত্যন্ত সন্তোষজনক। ভবিষ্যতে টিকা প্রদান কার্যক্রম আরো গতিশীল করা হবে। চসিক ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় সাধারণ সভায় প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলরবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ বক্তব্য রাখেন।

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট