চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ভর্তি কম নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক

চট্টগ্রামে বেসরকারি চার মেডিকেলে দ্রুত রোগী ভর্তির তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ জুলাই, ২০২১ | ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের বেসরকারি পাঁচ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মধ্যে শুধুমাত্র একটিতেই রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে। বাকি চারটিতে কেন করোনা রোগী ভর্তি কম সেটি জানতে চেয়েছে প্রশাসন। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা তাদের সীমাবদ্ধতা ও সংকটের কথা জানিয়ে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করলেও প্রশাসন বেসরকারি মেডিকেলে দ্রুত রোগী ভর্তির তাগিদ দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সভায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও পাঁচ বেসরকারি মেডিকেল কলেজের প্রধান ও বেসরকারি হাসপাতাল এসোসিয়েশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঁচ মেডিকেল কলেজ হলো : চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সাদার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এ পাঁচ হাসপাতালের মধ্যে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালেই উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক রোগীর সেবা প্রদান চলছে। একই সাথে হাসপাতালটিতে সরকারি-বেসরকারি অন্য হাসপাতালের চেয়ে বেশি আইসিইউ সেবা দেয়ায় প্রশংসিতও হয়। যদিও বাকি চার হাসপাতালে রোগী ভর্তি কম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বৈঠকে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বাকি চার মেডিকেল কলেজেও করোনা রোগীদের সেবা দেয়ার মতো সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু কোন কোনটিতে একজন করোনা রোগীও ভর্তি করানো হচ্ছে না। এরমধ্যে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল পর্যাপ্ত শয্যা থাকলেও তাতে কোন রোগী ভর্তি নেয়া হয়নি। যদিও বিজিসি ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ বৈঠকে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এরমধ্যে সেন্ট্রাল অক্সিজেন না থাকার বিষয়টি গুরুত্ব দিলেও তাদের শুধুমাত্র আইসোলেশনের ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেয়া হয়। বাকিগুলোর মধ্যে মেরিনসিটি মেডিকেল কলেজকে আরও এইচডিইউ ও শয্যা দ্বিগুণ, ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজকেও এইচডিইউ ও শয্যা বাড়ানোর কথা বলা হয়। শয্যা থাকলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনের নির্দেশনা দেয়া হয় সাদার্ন মেডিকেল কলেজকে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। মা ও শিশু হাসপাতাল ছাড়া বাকিগুলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে রোগী ভর্তি করানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যদিও তাদের কিছু কিছু সংকট রয়েছে। তবে আমরা চাই না একটি রোগীও শয্যার বাইরে থাকুক। এসব মেডিকেল কলেজ যদিও অন্তত ১০০ জন করে রোগী ভর্তি নেয় তাহলে চার মেডিকেলে ৪০০ রোগীকে সেবা দিতে পারব।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, সব হাসপাতালেই রোগী রাখতে হবে। ইতোমধ্যে সরকারি হাসপাতালগুলোতে সংকট তৈরি হয়েছে। এসব মেডিকেল কলেজে যে সক্ষমতা রয়েছে, তাতে রোগী ভর্তি নিলে অন্য হাসপাতালের ওপর চাপ কমে আসবে। কোন অবস্থাতেই রোগীদের ফেরত পাঠানো যাবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও আমাদের আশ^স্ত করেছেন, তারা এখন থেকে রোগীদের ভর্তি করাবেন।

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট