চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

গর্ভেই মারা গেলো সালমার অনাগত সন্তান

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ জুলাই, ২০২১ | ৯:৪২ অপরাহ্ণ

পৃথিবীর আলো দেখার আগে মাতৃগর্ভেই মারা গেলো সালমার অনাগত সন্তান। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অন্তঃসত্ত্বা সালমাকে মারধর করে সোহেল নামের এক যুবক। মারধরের এক পর্যায়ে সালমার পেটে লাথি মারে সোহেল। এতে পাঁচমাসের অন্তঃসত্ত্বা সালামার রক্তপাত শুরু হয়। সালমাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান,অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে সালমার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে।

বায়েজিদ থানার পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান পূর্বকোণকে জানান, স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় সোহেল নামে এক ব্যক্তিকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে শেরশাহ কলোনির বাসিন্দা রিকশা চালক মোহাম্মদ ইসমাইল। আমরা সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছি। সোহেল লক্ষীপুরের কমলাপুর গ্রামের মোহাম্মদ হানিফের ছেলে। তিনি শেরশাহ কলোনির মাইজপাড়া বাবুল কলোনির তিন নম্বর রুমে থাকেন।

পেশায় রিকশা চালক ইসমাইল হোসেন বলেন,তাদের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচর থানার ভুইয়াগ্রামে। রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ছেলে মেয়ে স্ত্রী নিয়ে নগরীর বায়েজিদ থানার শেরশাহ কলোনির মাইজপাড়া আলি মিয়ার কলোনিতে থাকেন। তার স্ত্রী সালমা বেগম পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শেরশাহ মাইজপাড়া এলাকায় সোহেলদের একটি চায়ের দোকান রয়েছে। গত ২৩ জুলাই বিকেলে সাড়ে তিনটার সময় ওই চায়ের দোকানের সামনে দুষ্টুমি করার অপরাধে ইসমাইলের আট বছরের ছেলে ইমনকে মারধর করে সোহেল। ছেলেকে মারধরের বিষয়টি জানতে সালমা বিকেল চারটার দিকে সোহেলের কাছে যায়। ওই সময় সোহেল শেরশাহ মাইজপাড়া পুলের পাশে ছিল।

ইসমাইল জানান, ছেলেকে মারধর করার কারণ জানতে চাইলে সোহেল আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সোহেল বেদড়ক মারধর করে সালমাকে। এক পর্যায়ে মাটিতে পড়ে গেলে সালমার রক্তপাত শুরু হয়। আশেপাশের লোকজন এগিয়ে সালমাকে সোহেলের হাত থেকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ইসমাইল ঘটনাস্থলে গিয়ে স্ত্রীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছে সালমার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। সালমা বর্তমানে চমেক হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ড চিকিৎসাধীন আছেন।

পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট