চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

গার্মেন্টস খোলা রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক 

২৬ জুলাই, ২০২১ | ১২:৪৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের পোশাক শিল্প মালিকদের ভার্চুয়াল জরুরি সভায় বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য তথা তৈরি পোশাক শিল্পকে সমূহ বিপর্যয় থেকে রক্ষার জন্য পূর্বের ন্যায় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গার্মেন্টস কারখানা সীমিত পরিসরে অথবা আংশিক খোলা রাখাতে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি কামনা করেছেন।

গতকাল বিকেল সাড়ে তিনটায় অনুষ্ঠিত এই ভার্চুয়াল সভায় বিজিএমইএ নেতা নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের মধ্যে পোশাক কারখানাসমূহ বন্ধ রাখার সরকারি সিদ্ধান্তে বাণিজ্যিক কর্মকর্তাসহ শ্রমিকদের অনুপস্থিতির কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানিকৃত পণ্যের চালান খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও রপ্তানির জন্য অর্ধপ্রস্তুতকৃত তৈরি পোশাক ফিনিশিংসহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন না করা, ক্রেতার প্রতিনিধি কর্তৃক পণ্যের গুণগতমান পরীক্ষা করতে না পারার কারণে নির্ধারিত লিড টাইমের মধ্যে জাহাজীকরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ কারণে উক্ত রপ্তানি আদেশ বাতিল / স্থগিত / ডিসকাউন্টসহ এয়ার শিপমেন্টের আশংকা দেখা দিয়েছে। এতে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে বিলম্বে সম্ভাব্য শ্রম অসন্তোষের আংশকা দেখা দিবে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রচুর আর্থিক ক্ষতির কারণে রুগ্ন শিল্পে পরিণত হবে। এছাড়াও বন্দর থেকে আমদানিকৃত পণ্য চালান খালাস করতে না পারার কারণে বন্দরে কন্টেইনার ও জাহাজজটের সৃষ্টি হয়ে আমদানি-রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যা, বিদেশি ক্রেতাদের নিকট বাংলাদেশের রপ্তানি শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে।

সভায় বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালাম, এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, মিরাজ-ই-মোস্তফা (কায়সার), প্রাক্তন প্রথম সভাপতি নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, মঈনউদ্দিন আহমেদ (মিন্টু), প্রাক্তন সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ফেরদৌস, এ এম চৌধুরী সেলিম, প্রাক্তন পরিচালক মোহাম্মদ মুসা, হাসানুজ্জামান চৌধুরী, আবদুল মান্নান রানা, অঞ্জন শেখর দাশ, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, এনামুল আজিজ চৌধুরী প্রমুখ।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট