চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

গৃহবধূর মৃত্যুর পর লাপাত্তা স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা

বাঁশখালী  সংবাদদাতা

২৫ জুলাই, ২০২১ | ৭:৩৩ অপরাহ্ণ

বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউপির চানপুর গ্রামে আইরিন আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। 

শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোক পালিয়ে গেছে। নিহতের বাবা আবু ছালেকের দাবি, স্বামী ও  শ্বশুর বাড়ির লোকদের নির্যাতনে মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহেদ মো. সাইফুদ্দিন বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে তার মৃত্যু হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলে পরিবারের লোকজন লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।

নিহতের বাবা আবু ছালেক বলেন, বিয়ের পর স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়ে আইরিনকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতো। এজন্য আমরা বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। পরবর্তীতে স্বামী নির্যাতন করবে না অঙ্গীকার দিলে মেয়েকে আবার তাদের হাতে তুলে দেই। এরিমধ্যে গত শনিবার সকাল ৮টার দিকে আইরিনের শ্বশুর বাড়ির থেকে ফোনে জানানো হয় আইরিন অসুস্থ। ঠিক দুই ঘণ্টা পর সকাল ১০টায় আবার জানানো হয় আইরিন ফাঁস খেয়েছে, তাকে আনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একথা বলেই তারা মোবাইল বন্ধ করে দেয়, জানান আইরিনের বাবা।

নিহতের চাচী রোকেয়া বেগম বলেন, আইরিনকে নির্যাতন করা হয়েছে। তার হাতে, পায়ে, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটা স্বাভাবিক মৃত্যু না।

পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, চন্দ্রপুর ১৪ নম্বর মাঠ এলাকায় এক গৃহবধূর মৃত্যুর সংবাদ শুনেছি। তাদের পারিবারিক ঝামেলা ছিল। কিভাবে মৃত্যু হয়েছে জানি না।

বাঁশখালীর রামদাসহাট পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এস আই রাকিবুল ইসলাম বলেন, নিহত আইরিন আকতারের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক। কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিউল কবির বলেন, পুকুরিয়ায় এক গৃহবধূর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। পবিরারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্বকোণ/পিআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট