চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

একাধিকবার অভিযান চললেও পুলিশের ইন্ধনেই পুনর্নির্মাণ!

চাক্তাইয়ে ভাসমান দোকান উচ্ছেদ নিয়ে দুপক্ষের উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ এপ্রিল, ২০১৯ | ২:৫৭ পূর্বাহ্ণ

চাক্তাই, রাজাখালী ও শাহ আমানত সেতুর গোল চত্বর এলাকায় ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ ঝুপড়ি দোকান দখল-বেদখল নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। চাক্তাই পুলিশ ফাঁড়ি ও বাকলিয়া থানাকে দৈনিক ৫০-৮০ টাকা হারে চাঁদা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এসব দোকান চলে আসছে। সিটি কর্পোরেশন ও সওজ একাধিকবার অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হলেও পুলিশের ইন্ধনে পুনরায় দোকান নির্মাণ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
দেখা যায়, রাজাখালী সেতুর একপাশ দখল করে অর্ধ শতাধিক ভাসমান দোকান বসানো হয়েছে। কাঁচা সবজি, শুঁটকি ও পেঁয়াজ-রসুনের পসরা সাজিয়ে রীতিমতো বাজারে পরিণত করা হয়েছে। অবৈধভাবে দোকান বসানোর কারণে সেতু ও সড়কজুড়ে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে। রহমান উপলক্ষে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ব্যবসা-বাণিজ্যের চাপ বেড়ে যাওয়ায় অবৈধ ভাসমান দোকানপাটের কারণে সকাল ও সন্ধ্যায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে পণ্য পরিবহন ও ব্যবসায়ীদের ত্রাহি অবস্থা বিরাজ করছে।
অভিযোগ রয়েছে, চাক্তাই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জামাল উদ্দিনের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে দোকানগুলো বসানো হয়েছে। প্রতিটি দোকান থেকে পুলিশের নামে দিনে ৭০ টাকা করে চাঁদা তোলা হয়। পুলিশের পক্ষে পুলিশের সিপাহি বাপ্পা ও পুলিশের সোর্স খ্যাত কামাল উদ্দিন নিয়মিত চাঁদা উত্তোলন করে। রাজাখালী সেতু ছাড়াও আশপাশ সড়ক ও গোল চত্বরজুড়ে দুই শতাধিক দোকান রয়েছে। দোকানভেদে দিনে ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা তোলা হয়। এসব দোকান থেকে দিনে প্রায় ১৫ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। মাসে যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় চার লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর বাইরে চাঁদা উত্তোলনকারীর নামে ১০ টাকা ও বৈদ্যুতিক খচর ২০ টাকা আদায় করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পুলিশ ছাড়াও সরকার দলের নাম ভাঙিয়ে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ভাসমান দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলে। পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাঘাট ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে দোকান বসানো হয়েছে। চাক্তাই খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ও পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য সিটি করপোরেশন এবং মহানগর পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট