চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সামান্য বাড়লেও সন্তুষ্ট নয় কর্তৃপক্ষ

চসিকের রাজস্ব আদায় এবার ১৪ কোটি ৭০ লাখ ২৭ হাজার টাকা বেশি আদায়

ইফতেখারুল ইসলাম

৩ জুলাই, ২০১৯ | ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

পৌরকর আদায়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) রাজস্ব বিভাগ গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৪০ শতাংশ অর্জন করেছে। যা তার আগের অর্থবছরের তুলনায় পৌনে দুই শতাংশ বেশি। তবে এই আদায়ে সন্তুষ্ট নয় চসিক কর্তৃপক্ষ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চসিকের ৮টি রাজস্ব সার্কেল ১১৮ কোটি ৮৯ লাখ ৩৪ হাজার ৩১৬ টাকা আদায় করেছিল। গত অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৮-১৯ এ আদায় হয়েছে ১৩৩ কোটি ৫৯ লাখ ৬২ হাজার ২২২ টাকা। অর্থাৎ ১৪ কোটি ৭০ লাখ ২৭ হাজার ৯০৫ টাকা বেশি আদায় হয়েছে। গত বছর মোট লক্ষ্যমাত্রার ৩৮.০৩ শতাংশ অর্জিত হয়েছিল। এবার অর্জিত হয়েছে ৩৯.৭৪ শতাংশ। চসিক সূত্র জানায়, আটটি সার্কেলের মধ্যে এবার রাজস্ব আদায়ে প্রথম হয়েছে ৬ নম্বর সার্কেল। এই সার্কেলের আদায়ের হার ৬৭.৭৪ শতাংশ। ৬ নম্বর সার্কেল এর আগের বছরও রাজস্ব আদায়ে প্রথম হয়েছিল। দ্বিতীয় হয়েছে রাজস্ব সার্কেল-৩। এই সার্কেলের আদায়ের হার ৬৩.৫২ শতাংশ। তৃতীয় হয়েছে ৭ নম্বর। এই সার্কেলের আদায়ের হার ৫৫.৪৫ শতাংশ। চতুর্থ হয়েছে ৫ নম্বর সার্কেল এবং আদায়ের হার ৫২.৫৪ শতাংশ। পঞ্চম হয়েছে চার নম্বর সার্কেল এবং আদায়ের হার ৫২.৩৮ শতাংশ, ৬ষ্ঠ হয়েছে ১ নম্বর সার্কেল এবং আদায়ের হার ৪৮.৮৫ শতাংশ। সপ্তম হয়েছে ২ নম্বর সার্কেল এবং আদায়ের হার ৩৯.৫২

শতাংশ। আট নম্বর সার্কেল রাজস্ব আদায়ে অষ্টম হয়েছে। এই সার্কেলের আদায়ের হার ২৬.৯০ শতাংশ।
জানতে চাইলে আটটি সার্কেলের মধ্যে প্রথম হওয়া ৬ নম্বর সার্কেলের কর কর্মকর্তা এ কে এম সালাউদ্দিন পূর্বকোণকে বলেন, মূলত টিমওয়ার্ক এই সার্কেলকে রাজস্ব আদায়ে প্রথম করেছে। সার্কেলের অন্য যারা সহকর্মী আছেন তাদের নিয়ে টিমওয়ার্ক করে হোল্ডিং মালিকদের বুঝিয়ে পৌরকর আদায় করা হয়েছে। আর যারা করখেলাপি তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে অনেকের পুরানো কর আদায় করা সম্ভব হয়েছে। যার ফলে এই সার্কেলে আদায়ের হার চসিকের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে।
জানতে চাইলে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা পূর্বকোণকে বলেন, গতবছরের তুলনায় পৌরকর আদায় সামান্য বাড়লেও তা সন্তোষজনক নয়। কর আদায়ে চসিকের সক্ষমতা বাড়াতে হবে উল্লেখ করে বলেন, নতুন অর্থবছরের শুরুতেই হোল্ডিং মালিকদের কাছে বার্তা পৌঁছানো হবে। তাদেরকে মোটিভেট করে কর আদায়ের চেষ্টা করা হবে। যদি তাতে কাজ না হয় তাহলে ক্রোকি পরোয়ানা জারির মধ্যে পৌরকর আদায় করা হবে উল্লেখ করে বলেন, চসিকের একমাত্র আয়ের উৎস হল পৌরকর। প্রতিবছর চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ খরচ হয় প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এর বাইরে উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালনা করতে হয়।
চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম বলেন, গত বছরের তুলনায় কিছু আদায় বাড়লেও তাতে তিনি সন্তুষ্ট নন। পৌরকর আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্রে হোল্ডিং মালিকদের মোটিভেট করার পাশাপাশি আইনের প্রয়োগও করা হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট