চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সিডিএ’র এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প

টাইগারপাস-লালখান বাজারে ফ্লাইওভারে আপত্তি চসিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ জুন, ২০২১ | ১:৩৫ অপরাহ্ণ

নগরীর টাইগারপাস-লালখান বাজার অংশে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের আপত্তি জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। ওই স্থানে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হলে সড়কের উভয়পাশে দৃষ্টিনন্দন পাহাড় দু’টির প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করা থেকে জনগণ বঞ্চিত হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক স্বাক্ষরিত সিডিএ চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠিতে গতকাল এসব কথা বলা হয়।

অন্যদিকে, গত ৮ জুন সিডিএ’র সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট চার সংস্থার সভায় টাইগারপাস থেকে লালখান বাজার অংশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া পাঁচটি প্রস্তাবনা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে পাহাড় ও স্থাপনা অক্ষুণ্ণ রেখে ফ্লাইওভার নির্মাণের এই প্রস্তাবনাকে বাছাই করেছে সিডিএ।

গতকালের চসিকের দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, টাইগারপাস হতে লালখান বাজার অংশে সড়কপথের উপর ফ্লাইওভার নির্মাণ হবে জানা যায়। উল্লেখ্য যে, উক্ত সড়ক পথের দু’পাশে অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক দু’টি পাহাড় রয়েছে। তাই উক্ত অংশে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হলে দৃষ্টিনন্দন পাহাড় দু’টির প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করা থেকে জনগণ বঞ্চিত হবে। কাজেই জনস্বার্থে উক্ত অংশে ফ্লাইওভার নির্মাণ না করে বর্ণিত ফ্লাইওভার দু’টির সংযোগ স্থাপন গ্রাউন্ড লেভেলে সমাধা করার জন্য মেয়রের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। তাছাড়া, সিডিএ কর্তৃক ইতিপূর্বে নির্মিত আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের জন্য একই সড়কপথে র‌্যাম্প নির্মাণের কারণে গ্রাউন্ড রোড সংকুচিত হওয়ায় সড়কপথে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। তাই বর্ণিত প্রকল্পের অধীনে একই সড়কপথে র‌্যাম্প নির্মাণ না করার জন্যও নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন থেকে একটি চিঠি দেওয়ার কথা জানতে পেরেছি। যদিও আমি এখনো চিঠি হাতে পাইনি। টাইগারপাস থেকে লালখান বাজার অংশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এ সিদ্ধান্ত তো সিডিএ একা নেয়নি। চার সংস্থার সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন সিটি কর্পোরেশন যদি আপত্তি জানায় আমরা সব সংস্থার সাথে বসবো। গত ৮ জুনের সভায় পাঁচটি প্রস্তাবনা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে পাহাড় ও স্থাপনা অক্ষুণ্ণ রেখে ফ্লাইওভার নির্মাণের এই প্রস্তাবনাকে বাছাই করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট