চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামে দেশের বৃহত্তম রুফটপ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক 

২১ জুন, ২০২১ | ১:৪৩ অপরাহ্ণ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানিই হবে আগামী দিনের মূল জ্বালানি। পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী ফুয়েল মিক্সে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ ক্রমশ বাড়ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ আসবে। আনোয়ারার কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে (কেইপিজেড) দেশের বৃহত্তম রুফটপ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গতকাল একথা বলেন।
তিনি বলেন, নেট মিটারিং সিস্টেম চালু হওয়ার পর রুফটপ সৌরবিদ্যুৎ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পেশাদারিত্বের সাথে স্থাপন করতে পারলে ব্রেকইভেনে যেয়ে এটা একটা ভালো বিজনেস মডেল হতে পারে। তবে যেহেতু সৌরবিদ্যুৎ করতে অনেক জমির প্রয়োজন। জমি কম লাগে এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণা প্রয়োজন।
নসরুল হামিদ বলেন, বায়ু বিদ্যুৎ, ওশান রিনিউবল এনার্জি এবং বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, সৌরবিদ্যুৎ ইত্যাদি আগামীর জ্বালানি মিশ্রণে ব্যাপক অবদান রাখবে। ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জ্বালানি হবে গ্রিন এনার্জি। এতে দেশের জ্বলানি খাতের চেহেরা পাল্টে যাবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়া রিপাবলিকের রাষ্ট্রদূত লি ঝান কেন, কোরিয়ান ইপিজেডের চেয়ারম্যান কিহাক সাঙ বক্তব্য দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোরিয়ান ইপিজেড ও বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কোরিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইয়াংওয়ানের মালিকানাধীন চট্টগ্রামের কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে (কেইপিজেড) ৪০ মেগাওয়াট সমন্বিত সক্ষমতাসম্পন্ন দেশের বৃহত্তম ছাদ সৌর বিদ্যুৎ বা রুফটপ সোলার পাওয়ার প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রায় ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে তিন ধাপে প্রকল্পটির পুরো কাজ শেষ হবে।
প্রথম ধাপে একটি ১৬ মেগাওয়াট সৌর ফটোভোলটাইক (পিভি) বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। ১৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে স্থাপিত এই কেন্দ্র রবিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উদ্বোধন করেন। এখন পর্যন্ত, দেশের বৃহত্তম পিভি ব্যবস্থার ছাদ সৌরশক্তির উৎস হচ্ছে এই কেন্দ্র।
এছাড়া প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে চলতি বছরের অক্টোবর নাগাদ ৪.৩ মিলিয়ন ডলায় ব্যয়ে ৪.৩ মেগাওয়াট সৌর প্যানেল স্থাপনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। তৃতীয় ধাপে ২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ২০ মেগাওয়াটের অন্য একটি কেন্দ্র ইনডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট (আইপিপি) হিসেবে স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে সময় লাগতে পারে প্রায় ১ বছর।

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট