চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

অনুমোদন ছাড়াই পণ্য উৎপাদন করে চট্টগ্রামের ২৬ প্রতিষ্ঠান

রাজীব রাহুল

২০ জুন, ২০২১ | ১০:৫১ অপরাহ্ণ

বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই পণ্য উৎপাদন করে ২৬ বেকারি। এসব পণ্যের মোড়কের গায়ে ব্যবহার করা হয় বিএসটিআইয়ের ভুয়া নিবন্ধন নাম্বার। গত ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন মাস পযর্ন্ত এক বছরে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন তথ্য। একই অপরাধে চট্টগ্রামের নামিদামি ২৫ বেকারি প্রতিষ্ঠানকে ১৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানাসহ একটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করেছে বিএসটিআই। এসব পণ্যের অধিকাংশই মানহীন ও ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে উৎপাদন করা হয়।

বিএসটিআইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিসের ফিল্ড অফিসার মো.আশিকুজ্জামান (সিএম) পূর্বকোণ অনলাইনকে বলেন, বিগত এক বছরে চট্টগ্রামের ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদনহীন পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া আনোয়ারার গণি সওদাগর ফুড এন্ড বেভারেজ প্রতিষ্ঠানটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পণ্য উৎপাদনের জন্য সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।

যেসব অনুমোদনহীন পণ্যের জন্য জরিমানা গুনতে হয়েছে সেগুলো হল: ফ্লেভারস প্রিমিয়াম সুইটস এন্ড বেকার্সের নিমকি ও চিড়া ভাজা , মিঠাই সুইটস এন্ড বেইকের বিস্কুট ও ক্রীম বান, মধুবন ব্রেড এন্ড বিস্কুট ইন্ডা. লিমিটেডের চুটকি, বান ও বিস্কুট, মেরিডিয়ান ফুড লিমিটেডের সস ও নুডুলস, ডুলসে সুইটস এন্ড বেকারির পাউরুটি ও বিস্কুট, আনোয়ারার গণি সওদাগর ফুড এন্ড বেভারেজের চিপস ও চনাচুর, রূপসা ফুড প্রোডাক্টসের বিস্কুট, রয়েল বাংলা সুইটসের চিপস ও চনাচুর, পতেঙ্গার ওভেন ফ্রেশের কেক, প্যারামাউন্ট ফুড প্রোডাক্টসের বিস্কুট, আগ্রাবাদ তামান্না বেকারির বিস্কুট, আনোয়ারা উপজেলার নিউ ঢাকা বেকারির পাউরুটি, পটিয়া উপজেলার দোহা ফুডের বিস্কুট, মিরসারাই উপজেলার নিউ আল আমিন বেকারি এন্ড কনফেকশনারির পাউরুটি ও বিস্কুট, নিউ মদিনা ব্রেড এন্ড বিস্কুট কারখানার পাউরুটি ও বিস্কুট, হাটহাজারীর নিউ বি বাড়িয়া বেকারির পাউরুটি, বিস্কুট ও কেক , জিমি ফুডের পাউরুটি ও কেক, বাকলিয়ার হোসেন ফুড এন্ড কোম্পানির কেক ও চুটকি, পাহাড়তলীর তাসনিম এন্টারপ্রাইজের ভিনেগার, হালিশহরের নিউ মডেল ফুডের বিস্কুট, ওয়াসা মোড়ের জুইবারা সুইটস এন্ড বেকারির পাউরুটি, এনায়েত বাজার তোফা ফুডের পাউরুটিসহ আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিস্কুট, বান ও রসমালাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যাবের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন পূর্বকোণ অনলাইনকে বলেন, এসব মানহীন ও অনুমোদনহীন পণ্য কিনে একদিকে ক্রেতা যেমন আর্থিক ও স্বাস্থ্যগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি এসব পণ্য বাজারে সয়লাভের কারণে প্রকৃত খাদ্য উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান ৫টি পণ্যের অনুমোদন নিয়ে ৮টি উৎপাদন করছে। এসব ক্ষেত্রে বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তাদের আরও আন্তরিক হয়ে কাজ করতে হবে।

পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট