চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পেশায় চোর হলেও এলাকায় বড় ব্যবসায়ী ইমন, ২ বউসহ গ্রেপ্তার ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ জুন, ২০২১ | ৯:০৬ অপরাহ্ণ

গত বুধবার (১৬ জুন) নগরীর হরিশদত্ত লেন শামসুল আলমের ভবনে ও আন্দরকিল্লা রাজাপুকুর লেনের সাধনা ভবনে চুরির ঘটনা অনুসন্ধানে নেমে মো. ইমন (৩২) নামের এক অভিজাত চোরের সন্ধান পায় পুলিশ। শনিবার (১৯ জুন ) নগরীর বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে দুই স্ত্রী ও সহযোগী মো. আশ্রাব খানসহ মো. ইমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পেশায় চোর হলেও ইমন এলাকায় বড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।

যে সেই ব্যবসায়ী নয়, নিজেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিবহন ব্যবসার অংশীদার পরিচয় দিত। গাড়ির ব্যবসা আছে বলে এলাকায় তার কদরও অনেক। এর সাথে পরিবারের সদস্যরা জানে ইমনের আছে বেশকিছু সিএনজিচালিত ট্যাক্সি। ওসবের আয়ে তার বিলাসী জীবন। ব্যবহার করত লাখ টাকার মোবাইল ফোন সেট, দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি। বাড়িতে আছে বিদেশি বিড়াল-কুকুর। যদিও চুরির ঘটনায় প্রথম সিএমপি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন ২০০৮ সালে। পরে চুরির মামলায় ২০১৫, ২০১৬ ও ২০২০ সালেও গ্রেপ্তার হন ।

কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, কোতোয়ালী থানা এলাকায় গত তিন মাসে তিনটি চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে আমরা এই চোরচক্রের সন্ধান পাই। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চুরির মালামাল বিক্রিতে সহযোগিতাকারী আশ্রাফ খান (৩৫), আর চুরির মালামাল বাসায় হেফাজতে রাখা ইমনের দুই স্ত্রী শাজাদা আক্তার সাদিয়া (২০) ও আনিকা সুলতানা সানি (১৯) এবং চোর ইমন। ইমন পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার থানার রাজপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।  কক্সবাজারের রামুর কাউয়ারখোপ এলাকার কামাল উদ্দিনের দুই মেয়ে শাজাদা আক্তার সাদিয়া (২০) ও আনিকা সুলতানা সানি (১৯) । অপরজন আশ্রাফ খান পিরোজপুর মঠবাড়িয়ার মৃত সুলতান খানের ছেলে।

গ্রেপ্তারকালে সাত ভরি ১২ আনা ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৭৮ হাজার টাকা, ছয়টি মোবাইল ফোন সেট, দুইটি ল্যাপটপ, ৫২টি ভারতীয় রুপির কয়েন ও চোরাই বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।

পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট