চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বান্দরবানে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ, মৃত্যু ২

বান্দরবান সংবাদদাতা

১৪ জুন, ২০২১ | ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি পাহাড়ি গ্রামে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। গত চারদিনে ডায়রিয়ায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকার ৫টি দুর্গম পাড়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে শতাধিক। 

শুক্রবার (১১ জুন) থেকে সোমবার (১৪ জুন) সকাল পর্যন্ত চারদিনে উপজেলার ৪ নম্বর ইউনিয়নে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- মাংরুম পাড়ার মাংদম ম্রো, ঙানলি ম্রো। তবে এ পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যুর খবর স্বাস্থ্য বিভাগ জানালেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ৭ জন মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে আক্রান্ত এলাকায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম পাঠানোর কথা জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা: অংসুই প্রু মারমা। এছাড়া সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার করে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওই এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, আলীকদম উপজেলার মায়ানমারের সীমান্তবর্তী কুরুকপাতা ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গম মেনলিও পাড়া, মানরুম পাড়া, ইয়ুং চা পাড়া, থমসং পাড়াসহ পাঁচটি পাড়ায় গত কয়েকদিন থেকে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। পাড়াগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা একশ ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লংপ্লাং ম্রো বলছেন আক্রান্ত পাড়াগুলোতে এ পর্যন্ত ৭ জন মারা গেছেন।

এরা হলেন- মানরুম পাড়ার রেংচং ম্রো, মাংদম ম্রো, ঙাংলি ম্রো, ইয়ংচা পাড়ার রামদন ম্রো, তুমতল ম্রো, কাইয়ং ম্রো। এদের মধ্যে একজন কিশোর বাকি সবাই বয়স্ক। এদিকে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ায় পাড়াগুলো থেকে লোকজন আতঙ্কে এখন জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। ইতিমধ্যে সেখানে সেনাবাহিনীর সহায়তা হেলিকপ্টারে করে একটি মেডিকেল টিম রওনা দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিভাগের দুটি মেডিকেল টিম সেখানে কাজ করছে বলে সিভিল সার্জন জানিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আশিক ই মাহমুদ জানিয়েছেন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে তারা এ পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর শুনেছেন। তবে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেনাবাহিনীর সহায়তায় স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম যাচ্ছে। স্থানীয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থেকেও সেখানে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন পাহাড়ি ঝর্না থেকে দূষিত পানি পান করায় ওই এলাকায় ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত বাড়তে থাকায় ওই এলাকায় মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট