চট্টগ্রাম বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় বক্তারা

উপমহাদেশের শ্রম আন্দোলনের অগ্রদূত জহুর আহমদ চৌধুরী

২ জুলাই, ২০১৯ | ২:৪৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ত্যাগ ও আপোষহীনতার রাজনীতিতে জহুর আহমদ চৌধুরী আমাদের আদর্শিক বিশ্বাসের শিকড়। বহুবিধ গুণাবলী অধিকারী এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব উপমহাদেশের শ্রম আন্দোলনের অগ্রদূত। স্বভাব শিক্ষিত এ আদর্শিক মানুষটি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহচর্যে এসে সত্যিকার অর্থে একজন গণমানুষের নেতা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। আজ পরিবর্তিত রাজনৈতিক আবহে অতীতের মত অনেক কিছুই নেই। কিন্তু জহুর আহমদ চৌধুরীর মত ত্যাগী ও আদর্শিক মানুষের ছায়াতলে আওয়ামী রাজনীতির মূল ঘূর্ণাবর্ত প্রবহমান। আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা যারা সত্যিকার অর্থে রাজনীতি করি জহুর আহমদ চৌধুরীর মত মানুষরাই আমাদের আশ্রয়। জহুর আহমদ চৌধুরীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেছেন। তিনি আরো বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগ উপর্যুপরি তৃতীয় দফায় ক্ষমতায়। এর প্রভাবে ভাল-মন্দ দুটি ধারাই প্রবহমান। তবে আমাদেরকে ভাল দিকটিকেই আকড়ে থাকতে হবে। এ ভাল দিকটি হল আমরা যারা সত্যিকার অর্থে নিখাদ রাজনৈতিক নেতাকর্মী তারা এখন বুঝতে পারছি যে, আত্মতৃপ্তি আমাদেরকে গ্রাস করতে পারে। এ প্রবণতা পরিহার করতে পারলে দল সমৃদ্ধ হবে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও প্রয়াত নেতা জহুর আহমদ চৌধুরীর সন্তান মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জহুর আহমদ চৌধুরী আমার পিতা। তিনি একজন ষোলআনা খাটি রাজনীতিক। তাই তাঁর সাথে পরিবারের বন্ধন আলগা থাকলেও তাঁর সন্তান হিসেবে আমি গৌরববোধ করি। তিনি কখনও অর্থবিত্তের জন্য রাজনীতি করেন নি। মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গণমানুষের মুক্তি অর্জনই ছিল তাঁর আরাধ্য স্বপ্ন। এই স্বপ্নটি ছিল বঙ্গবন্ধুরও। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তা অর্জিত হলে বঙ্গবন্ধু ও আমার প্রয়াত পিতার আত্মা শান্তি পাবে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ ছালাম বলেন, ত্যাগী নেতাকর্মীরা নিজেরাই হাইব্রিডদের করুণানির্ভর হয়ে পড়েছেন। মফিজুর রহমান বলেন, জহুর আহমদ চৌধুরীর আওয়ামী রাজনীতির পুরোধা ব্যক্তিত্ব। আমরা বর্তমান প্রজন্মের রাজনীতিকরা তাঁর সাহচর্য পাই নি। তবে তাঁরই হাতে গড়ে ওঠা এম এ মান্নান ও মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাহচর্যে এসে সঠিক রাজনীতির দীক্ষা নেয়ার সুযোগ ঘটেছে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, জহুর আহমদ চৌধুরীর মত ক্ষণজন্মা রাজনীতিবিদের চট্টগ্রামে জন্ম হয়েছিল বলেই চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। তিনি ছিলেন নিরংহকারী, নির্লোভ ও আপাদমস্তক একজন খাটি বরাজনীতিবিদ। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভার শুরুতে প্রয়াত নেতার প্রতি দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সহ সভাপতি ও সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. ইদ্রিছ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উত্তর জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা মো. হারিস চৌধুরী, নোমান আল মাহমুদ, প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, এটি এম পেয়ারুল ইসলাম, প্রদীপ কুমার দাশ, মোহাম্মদ ইউনুছ, কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন। এর আগে সকালে জহুর আহমদ চৌধুরীর দামপাড়াস্থ কবরপ্রাঙ্গণে খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং তাঁর কবরে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার নেতৃবৃন্দ স্ব স্ব জেলার পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। আলোচনা সভার প্রারম্ভে সাবেক মহিলা কাউন্সিলর ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি প্রয়াত নেতা জহুর আহমদ চৌধুরীর পুত্রবধূ বেগম শফিনাজ মাহতাবের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট