চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

তপন নাথ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

জাল রেজিস্ট্রি করে ২০০ বিয়ের স্বীকারোক্তি ভুয়া কাজীর

নিজস্ব সংবাদদাতা, হাটহাজারী

২ জুলাই, ২০১৯ | ২:৪৬ পূর্বাহ্ণ

কাজী না হয়েও দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে কাজী পরিচয় দিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি করে আসছিল কথিত কাজী তপন কান্তি নাথ (৪২) ছদ্মনাম মুহাম্মদ হাসান। হাটহাজারীর বিভিন্ন এলাকায় ২০০ বিয়ে রেজিস্ট্রি করেছে সে। হুবহু কাবিননামা বইয়ের মতো একটা বইয়ে কেবল বর-কনের স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি করে জনগণের সাথে প্রতারণা করছিল সে। এর আগে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলেও তাকে হাতেনাতে ধরা সম্ভব হয়নি। বারবার প্রশাসনের নজর এড়িয়ে তিনি বিয়ে নিবন্ধনের নামে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে এবার শেষ রক্ষা হয়নি ভুয়া কাজী তপন কান্তি নাথ (৪২) ও তার এক সহযোগীর। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন গত ৩০ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছদ্মবেশে সিএনজি নিয়ে হাটহাজারী মেডিকেল গেট এলাকার ইদ্রিস ভবনে একটি বিয়ে রেজিস্ট্রি করার সময় হাতেনাতে তাকে আটক করেন।
ভুয়া কাজী তপন কান্তি নাথ (৪২) হাটহাজারী পৌরসভার মীরেরখীল নাথ পাড়ার হরিপদ নাথের ছেলে। তার সাথে সহকারী ও হুজুর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এহসানুল হক (২৬) নামে অপরজন। এহসান রাউজান পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সালামত উল্লাহর বাড়ির মৃত এজাহারুল হকের ছেলে। জানা যায়, ২০০২ সালে একটি কাজী অফিসের পিয়ন হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিল তপন কান্তি নাথ (৪২) ওরফে হাসান। পরবর্তীতে সে নিজেই কাজী সেজে প্রতারণা শুরু করে।
সূত্র আরও জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন গত ৩০ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছদ্মবেশে সিএনজি নিয়ে হাটহাজারী মেডিকেল গেট এলাকার ইদ্রিস ভবনে একটি বিয়ে রেজিস্ট্রি করার সময় হাতে নাতে তাকে আটক করেন। এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় জাল কাবিননামার বই। একইসাথে ভুয়া কাজী হাসানের সহকারী মো. এহসানকেও আটক করা হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে হাসান স্বীকার করে এ পর্যন্ত সে কাজীর পরিচয়ে ২০০ বিয়ে নিবন্ধন করেছে। তার দাবি সে এগুলো রেজিস্ট্রি করিয়েছে। দিয়েছে কাবিননামাও।
ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে স্থানীয় কাজী সমিতি নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ মামলা না হলে তারা আবারও প্রতারণা করে যাবে। তিনি আরও বলেন, এর আগে ২০১৫ সালে তাকে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। তখন হাসানকে ধরা না গেলেও তার সহকারী আটক হয়েছিল। এবার ছদ্মবেশে সিএনজি নিয়ে উপস্থিত হয়ে তাকে হাতেনাতে আটক করি। বিগত দিনে যে বিয়েগুলি তিনি পড়িয়েছেন সে বিয়েগুলি নিয়ে যদি কোনো আইনি ঝামেলা হয় তখন তারা বিপদে পড়বে। কারণ বিয়েগুলো সরকারিভাবে লিপিবদ্ধ হয়নি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট