চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বিলাতি ধনিয়ার আবাদ বাড়ছে রাঙ্গুনিয়ায়

জিগারুল ইসলাম জিগার, রাঙ্গুনিয়া

২ জুলাই, ২০১৯ | ১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

উপজেলায় বাড়ছে বিলাতি ধনিয়া পাতার চাষাবাদ। অল্প পুঁজিতে অধিক লাভের কারণে এই চাষে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
এছাড়াও রাঙ্গুনিয়ার পাহাড়ি বিলাতি ধনিয়া পাতার সুনাম রয়েছে সর্বত্র। এখানকার উৎপাদিত পাহাড়ি ধনিয়া পাতা রপ্তানি হয় রাঙ্গুনিয়া ও আশপাশের উপজেলার বড় বড় বাজার সহ চট্টগ্রামের বাইরে ঢাকা কুমিল্লা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে। পাহাড়ি জমিতে প্রতিবছর বিলাতি ধনিয়া পাতার চাষ করে আসছেন শত শত বাঙ্গালী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মানুষ।
এই ধারাবাহিকায় চলতি বছরেও বিলাতি ধনে পাতার ব্যাপক চাষাবাদ হলেও দামে হতাশ কৃষকরা। যেখানে গত বছর প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেখানে এ বছর ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বিলাতি ধনিয়া পাতা। চাষিরা ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার জন্য সিন্ডিকেটকেই দায়ী করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ বছর প্রায় ২৪ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে বিলাতি ধনিয়া। গত বছর যার পরিমাণ ছিল ২০ হেক্টর। উপজেলার ইসলামপুর, রাজানগর ইউনিয়নসহ রাঙ্গামাটির কাউখালী সাপছড়ি, মানিকছড়ির বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক চাষ হয়েছে বিলাতি ধনিয়া পাতার।
বেতছড়ি গ্রামের কৃষক মো. হাছান মুরাদ বলেন প্রতি বছরই ধনিয়ার চাষ করি, এবছরও দেড় কানি জমিতে চাষ করেছি। শুরুতে কেজি প্রতি ৯০-১০০ টাকা দাম পেলেও এখন দাম কমে গেছে। কেজি প্রতি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা।
আরেক চাষি শিশু মোহন তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, বিলাতি ধনিয়া চাষে প্রচুর টাকার প্রয়োজন। এক কানি জমি আবাদ করতে প্রায় ২-৩ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হয়। ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে ঋনের ব্যবস্থা করতে পারলে কৃষকদের জন্য উপকার হবে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সহিদুজ্জামান বলেন, কৃষকদের নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি। উপজেলায় প্রচুর বিলাতি ধনিয়া পাতা চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে এখানে উৎপানের পরিমান আরও বাড়ানো যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার বলেন, যে কোন ধরনের কারিগরি পরামর্শের জন্য আমাদের মাঠ পর্যায়ে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত কাজ করছেন। তারা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ সহ বিভিন্ন ভাবে সহায়তা দিচ্ছেন। এছাড়াও কৃষি ঋনের জন্য সুপারিশসহ বাজার ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য বর্তমান সরকারের নির্দেশনায় কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট