চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

এ. জে চৌধুরী কলেজে একাদশে ভর্তিতে বাড়তি ফি আদায়, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা , কর্ণফুলী

৩০ জুন, ২০১৯ | ২:১৫ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভর্তি নীতিমালা উপেক্ষা করে একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে পশ্চিম পটিয়া এ. জে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ। নীতিমালা অনুসারে, সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে মফস্বল/পৌর ( উপজেলা) এলাকায় ১ হাজার টাকা হলেও এ কলেজে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪৫৭০টাকা করে আদায় করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। উপজেলায় আর কোন কলেজ না থাকায় শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত টাকা ফি দিয়ে ভর্তি হতে বাধ্য হচ্ছে। গতকাল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। গত দুই দিনে বিভিন্ন বিভাগে ৫৭০জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন বলে নিশ্চিত করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে, সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকায় ১ হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২ হাজার টাকা এবং ঢাকা ব্যতিত অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩ হাজার টাকার বেশি হবে না। কিন্তু উপজেলার এই বেসরকারি কলেজে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন খাত দেখিয়ে ৪৫৭০টাকা আদায় করা হচ্ছে।
কলেজে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, শহরের বেসরকারি কলেজগুলো নিচ্ছে যেখানে ৩ হাজার টাকা সেখানে উপজেলার এই কলেজটি নিচ্ছে ৪,৫৭০টাকা। উপজেলায় কলেজের অভাব থাকায় বাধ্য হয়ে ভর্তি হতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ’পদাধিকারবলে ভূমিমন্ত্রী ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। তার অজান্তে তাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা যোগসাজশে অধ্যক্ষকে নিয়ে বাণিজ্য করছে। এতে ভূমিমন্ত্রীর মান সম্মান ক্ষুণ হচ্ছে।’
তবে পশ্চিম পটিয়া এ.জে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ৪,৫৭০টাকা খুব বেশি নয়। এতে নীতিমালার কোন ব্যত্যয় ঘটছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি আদায় নিয়ে বেশ কয়েকজন অভিযোগ জানিয়েছেন। কলেজের অধ্যক্ষকে আগামীকালের মধ্যে অতিরিক্ত অর্থ শিক্ষার্থীদের ফেরত দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু হাসান সিদ্দিক দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, কোন অজুহাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট