চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ক্যাবের বিবৃতি অনিয়ম রোধ হলে পানির মূল্য বৃদ্ধি প্রয়োজন নেই

৩০ জুন, ২০১৯ | ২:১৬ পূর্বাহ্ণ

অদক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও অনিয়ম রোধ করা গেলে পানির মূল্য বৃদ্ধি প্রয়োজন পড়ে না, দাম বাড়ানোর আগে পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা জরুরি।
অব্যবস্থাপনা ও বিড়ম্বনা রোধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম চট্টগ্রাম ওয়াসার সকল কার্যক্রম অটোমেশনের (স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি) আওতায় আনার যে নির্দেশ দিয়েছেন সেটিকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনের নেতারা মন্ত্রী ও সচিবের পানির দাম বাড়ানোর পরামর্শের বিরোধীতা করে এটিতে অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, অদক্ষ প্রশাসন, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, আত্মীয়করণ ও গ্রাহক স্বার্থকে উপেক্ষা করার কারণে প্রতিষ্ঠার ৫৬ বছরেও চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরবাসীর চাহিদা পুরণে ব্যর্থ। অধিকন্তু গত ২৫ মে ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত ওয়াসার ৫১তম সভায় বলা হয় গড়বিল আদায়ের কারণে ২৭ হাজার গ্রাহক ৫ ইউনিট পানি ব্যবহার করে ৩০ ইউনিটের বিল দিচ্ছেন। হিসাব শাখার এ চাঞ্চল্যকর তথ্য উপস্থাপন হলে ওয়াসার বোর্ড সদস্য জাফর সাদেককে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
নানাবিধ অনিয়ম, গড় বিল আদায়ের মতো পুকুর চুরি, পানির দৈনিক উৎপাদন নিয়ে হেরফের, ডাটাবেস ছাড়াই উৎপাদন খরচ নির্ধারণ ও বিতরণে শুভংকরের ফাঁকির মতো ঘটনাগুলি উদঘাটনে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ক্যাব। ওয়াসার অভ্যন্তরে অনিয়ম ও দুর্নীতি উদঘাটন করে চট্টগ্রামবাসীর অন্যতম সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানকে আদর্শ ভোক্তা বান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার দাবিও জানানো হয়।
বিবৃতিদাতারা হলেন, ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ক্যাব দীর্ঘদিন ধরেই গড় বিল আদায়, বিল আদায়ে নানা অনিয়ম তুলে ধরে আসলেও ওয়াসা কর্তৃপক্ষ কোন কর্ণাপাত করেনি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই বিপুল পরিমান বিল আদায়কারীদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নিতে পারে নি। আর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের পূর্বেই পানির দাম বাড়ানোর কথা বলে তদন্ত কমিটির কাজ ভিন্নখাতে নিতে পাঁয়তারা করছেন।
পুরো নগরে পানির জন্য হাহাকার, নগরজুড়ে রাস্তা খোড়াখুড়ি, পানির লিকেজ ও বিপুল পরিমাণ পানি প্রতিদিন নালা, নর্দমায় পড়ে গিয়ে অপচয় হচ্ছে। নগরীর বিভিন্ন জায়গায় পানির জন্য হাহাকার, ময়লা ও দুর্গন্ধময় পানি, হালিশহর এলাকায় পানির লাইনে স্যুয়ারেজ এর লাইন যুক্ত হয়ে পানি দূষণে গত বছর জন্ডিসসহ পানিবাহিত রোগ মহামারী আকারে রূপ নিলেও ওয়াসা কার্যত কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ করা হয় বিবৃতিতে।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট