চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সরকারি ছুটিসহ ৭ দফা দাবি

ইস্কনের রথযাত্রা উৎসব ৪ জুলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ জুন, ২০১৯ | ২:০১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম ইসকন আয়োজিত ২২তম রথযাত্রা উৎসব আড়ম্বরভাবে উদ্যাপন করা হবে। আগামী ৪ জুলাই ডিসি হিল প্রাঙ্গণ থেকে রথযাত্রা উৎসব শুরু হবে। নন্দনকানন শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির ও গৌর নিতাই আশ্রমে ১২ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। ৭ দিনব্যাপী জে এম সেন হলে ভাগবত সপ্তাহ পালন হবে। রথযাত্রা উৎসবে সরকারি ছুটি ঘোষণাসহ ৭ দফা দাবি চট্টগ্রাম ইস্কনের। গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে
। ১১ পৃষ্ঠার ৭ম ক.

সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। রথযাত্রায় বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞানুষ্ঠান, জগন্নাথদেবের মধ্যাহ্নকালীন ভোগারতি, ধর্ম মহাসম্মেলন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈদিক নাটক অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইস্কন) চট্টগ্রাম ইস্কনের বিভাগীয় রিজিওন্যাল সেক্রেটারি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। তিনি বলেন, মহাশোভাযাত্রা নন্দনকাননস্থ শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির ও গৌর নিতাই আশ্রম সম্মুখে ডিসি হিল প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে চেরাগি পাহাড়-আন্দরকিল্লা-বক্সিরহাট বিট-লালদিঘির পাড়-কোতোয়ালীর মোড়-নিউ মার্কেট-আমতলা-বোস ব্রাদার্স-নন্দনকানন শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির এসে সমাপ্ত হবে। তিনি বলেন, পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মানুষের মিলনোৎসব হল রথযাত্রা উৎসব। রথযাত্রা হল পৃথিবীর একমাত্র উৎসব যেখানে ভগবান মন্দির থেকে বের হয়ে এসে রথে আরোহন করে নগর পরিক্রমা করেন। এই হল জগন্নাথদেবের মহিমা। আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) এর প্রতিষ্ঠাতা আচার্য জগৎগুরু শ্রীল প্রভুপাদের কল্যাণে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব জগতের নাথ জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব আজ সারা বিশ্বের প্রায় ১২৭টি দেশের সব বড় বড় শহরে বছরব্যাপী হাজার হাজার বিদেশি ধর্মপ্রাণ নরনারীর অংশগ্রহণে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও চট্টগ্রাম ইস্কন নেতৃবৃন্দ রথযাত্রা উৎসবের দিন রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারি ছুটি ঘোষণা, সনাতন ঐতিহ্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র সদৃশ বিলুপ্ত প্রায় মন্দির স্থাপনা, স্মৃতি স্থান ও তীর্থস্থান সমূহ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে সংরক্ষণ ও রক্ষণা-বেক্ষণ ও প্রসারের জন্য সরকারি বরাদ্দ নিশ্চিত করা, নন্দনকাননস্থ রাধামাধব মন্দির, লোকনাথ মন্দির ও বিদ্যালয়ের অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্ত করা, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে রূপদান করা, রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মীয় বৈষম্যমূলক বাজেট সংশোধন করে নতুন মন্দির নির্মাণে বরাদ্দ প্রদান করা, রথযাত্রায় অংশগ্রহণকারী জনগণের ভোগ্য খাদ্যবস্তু সমূহ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রদান করা, প্রত্যেক মঠ, মন্দির ও দেবোত্তর সম্পত্তি সমূহের নিñিদ্র নিরাপত্তা প্রদান করার দাবি জানান। এছাড়া রথযাত্রায় কঠোর নিরাপত্তা প্রদানের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. চন্দন তালুকদার, কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দে, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ, নন্দনকানন ইস্কন মন্দিরের অধ্যক্ষ প-িত গদাধর দাস ব্রহ্মচারী, অকিঞ্চন গৌর দাস ব্রহ্মচারী, সাধারণ সম্পাদক তারণ নিত্যানন্দ দাস ব্রহ্মচারী, কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী পরিষদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তপন কান্তি দাশ, জন্মাষ্টমী প্রকৌশলী আশুতোষ দাশ, ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ পালিত, গৌর পূর্ণিমা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন মোহরা ইস্কন মন্দিরের অধ্যক্ষ সর্বমঙ্গল গৌর দাস, ইসকনের গৃহস্থর কাউন্সিলর বলরাম করুণা দাস, যুগ্ম সম্পাদক মুকুন্দ ভক্তি দাস ব্রহ্মচারী, সুবলসখা দাস ব্রহ্মচারী, অপূর্ব মনোহর দাস ব্রহ্মচারী, শেষরূপ দাস ব্রহ্মচারী প্রমুখ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট