চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

জেলা খাটার পরও চাকুরীতে চসিক বিদ্যুৎ হেলপার জালিয়াত মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ জুন, ২০১৯ | ১:৫৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) এক বৈদ্যুতিক হেলপার জালিয়াতির মামলায় জেল খাটার পরও দিব্যি চাকুরি করে যাচ্ছেন। তার নাম শিমুল ভৌমিক। তিনি চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগের একজন বৈদ্যুতিক হেলপার। অথচ সরকারি চাকুরিবিধি অনুযায়ী ফৌজদারি আইনে কেউ জেল খাটলে তিনি চাকুরি থেকে বরখাস্ত হবেন। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, মৌসুমী মল্লিক (২২) নামে এক নারী ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেনারেল পোস্ট অফিসে (জিপিও) বাংলাদেশ পোস্ট অফিস সঞ্চয় ব্যাংকের একটি মেয়াদি আমানত পাস বহি উপস্থাপন করেন। বইটি পোস্টাল অপারেটর দিদারুল আলমের কাছে নকল বলে সন্দেহ হয়। বিষয়টি তিনি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে যাচাই করে দেখেন বইটি

আসলেই নকল। এসময় মৌসুমী স্বীকার করেন যে, বইটি তাকে শিমুল ভৌমিক বানিয়ে দিয়েছে। কৌশলে শিমুল ভৌমিককে ডেকে এনে উভয়কে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জালিয়াতির কথা স্বীকার করে। জালিয়াতি করে তৈরিকৃত বইয়ের নম্বর ঋই-২১৫০৯৬ বইয়ের মাধ্যমে টাকা তুলতে গিয়েই তারা ধরা পড়ে। বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস পার্ট-১ এর বিধি ৭৩ মতে যদি কোন সরকারি কর্মচারউ দেনার দায়ে অথবা ফৌজদারি অভিযোগে জেলে আটক থাকার কারণে কর্ম হতে অনুপস্থিত থাকেন তাহলে বিচার কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়ার পর্যন্ত তিনি অনুপস্থিতকালের জন্য কোন প্রকার বেতন, ছুটিকালীন বেতন বা ভাতাদি পাবেন না। বিধিতে আরো বলা আছে সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তার হলে গ্রেপ্তারের তারিখ হতে সাময়িক বরখাস্ত বলে বিবেচিত হবেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে শিমুল ভৌমিক পূর্বকোণকে বলেন, তিনি ২১ দিন জেল খাটেন। জেল থেকে বের হওয়ার পর তিনি পুনরায় যোগদান করেন। বিষয়টি তার কর্তৃপক্ষ জানে উল্লেখ করে বলেন, জেল খাটলেও তার কোন অসুবিধা হয়নি। তবে যে কদিন অনুপস্থিত ছিলেন তার বেতন তিনি পাননি। বর্তমানে তার মামলাটি বিচারাধীন আছে উল্লেখ করে বলেন, ঘটনায় জড়িত নারী মৌসুমী মল্লিক তার ভালবাসার মানুষ। ভালবাসার মানুষকে খুশি করার জন্য তিনি তাকে ডাক বিভাগের মেয়াদি আমানত বইটি ফটোকপি করে দিয়েছিলেন। এখন এই মামলায় মৌসুমীকে সাক্ষী করা হয়েছে।
জিপিও’র পক্ষ থেকে মামলাটি দায়ের করেন জিপিও’র পরিদর্শক রাজীব চৌধুরী।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট