চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ভরাটে মরণাপন্ন কৃষি খাল আতঙ্কে লক্ষাধিক মানুষ

১৮ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ জুন, ২০১৯ | ১:৫৪ পূর্বাহ্ণ

পলিথিন, আগাছা আর বর্জ্যরে ভাগাড়ে মরণাপন্ন বাকলিয়ার কৃষি খাল। খালের করুণ দশার কারণে জলাবদ্ধতা আতঙ্কে রয়েছেন বাকলিয়ার লক্ষাধিক মানুষ।
সরেজমিন দেখা যায়, খালের কচুরিপানা, আগাছা আর পলিথিন বর্জ্যে ভরাট হয়ে গেছে প্রবাহমান খালটি। খালের বিভিন্ন স্থানে লোহা আর বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানানো হয়েছে। যত্রতত্রভাবে দখল ও বর্জ্যরে ভাগাড়ে পরিণত হয়ে খালটির এখন মরণাপন্ন অবস্থা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, দেড় বছর আগে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে খনন করা হয়েছিল। এরপর সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণ না করায় বর্জ্যরে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খালের দুই পাড়ের বাসিন্দা ও দোকানিরা উচ্ছিষ্ট এবং বর্জ্য সরাসরি খালে ফেলার কারণে তা ভরাট হয়ে গেছে। প্রবাহমান খালটি এখন মরমরে অবস্থা। চলতি বর্ষায় এনিয়ে জল-আতঙ্ক দুঃচিন্তায় রয়েছে এলাকাবাসী।
১৮ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হারুণ উর রশিদ বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চলমান জলাবদ্ধতামুক্ত প্রকল্পের আওতায় এই খালের কোন কাজ করেনি। এনিয়ে খাল সংশ্লিষ্ট এলাকার লক্ষাধিক মানুষ জলাবদ্ধতার আতঙ্কে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাকলিয়া হচ্ছে জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকা। কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী এলাকা হওয়ার বৃষ্টি বা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় নিম্নাঞ্চল। খালটি খনন এবং নদী সংলগ্ন খালের মুখে পাইপ বসানোর জন্য সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান, প্রধান প্রকৌশলী ও মেগা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালককে অনুরোধ করেছিলাম। কারণ পানি নামার ব্যবস্থা না করলে বাকলিয়াবাসী অন্যান্য বছরের মতো এবারো জলাবদ্ধতায় ডুববে।
নগরীর বির্জাখালের রাহাত্তারপুল থেকে বাকলিয়ার আবদুল লতিফ হাটখোলা, স’মিল, ডেপুটি রোড, ওয়াজেরপাড়া হয়ে মান্নান সওদাগর বাড়ি এলাকায় মিশেছে কৃষি খাল। প্রায় ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে খালটি শাখা-প্রশাখা ও নালা-নর্দমাগুলোও ভরাট হয়ে গেছে। একাধিক স্থান বেদখল হয়ে গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, দেড় বছর আগে খালটি খনন করায় স্বাভাবিক পানি চলাচল ছিল। গত বর্ষাকালে বড় ধরনের জলাবদ্ধতা হয়নি। কিন্তু চলতি মৌসুমে জলাবদ্ধতা আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। খাল, শাখা খাল ও নালা-নর্দমা ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়বে। চলতি বর্ষার দু-এক দফার বৃষ্টিতে খাল ও নালার পানি চলাচল করতে না পেরে আটকে যায়। খালটি দ্রুত খনন করা না হলে জলাবদ্ধতায় ডুববে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট