চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

এখন জমজমাট মেহেদির শপিং

নিজস্ব প্রতিবেদক 

১২ মে, ২০২১ | ১:২৯ অপরাহ্ণ

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব এখন টালমাটাল। এমন পরিস্থিতিতে গত বছর আনন্দহীন দুটো ঈদ কাটিয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়। তবে মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ চলমান থাকলেও মানুষ অনেকটা স্বাভাবিক জীবন কাটাচ্ছে।

তাই এবার আর বাদ যাচ্ছে না ঈদের আনন্দ। শেষের দিকে শপিংমল খুলতেই মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে কেনাকাটায়। তাই নগরীর শপিংমলগুলোতে এখনো ভীড়। নতুন জামা, জুতা, সাজ প্রসাধনী যা-ই কেনা হোক না কেন, ঈদের অন্যতম আকর্ষণ মেহেদি। এই মেহেদি ছাড়া ঈদ যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায় নারীসমাজের কাছে। তাই তো শেষ মুহূর্তে এসে অন্যান্য শপিংয়ের সাথে বেচা-কেনা চলছে নানারকম দেশি বিদেশি ব্র্যান্ডের মেহেদির। গতকাল নগরীর স্যানমার ওশান সিটি, সেন্ট্রাল প্লাজা, আফমি প্লাজা, মতি টাওয়ার, মতি কমপ্লেক্স, কেয়ারী ইলিসিয়ামসহ শহরের প্রায় সব শপিংমলে মেহেদি বিক্রির মেলা বসে। মলগুলোতে কিছু তরুণ-তরুণী টুল বসিয়ে নানারকম মেহেদির ডালা সাজিয়ে বসেন। নারী ও তরুণীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চলে নানা অফার। কেউ আবার সুন্দর ডিজাইন করে মেহেদি পরিয়ে দিয়েছেন।

আফমি প্লাজায় মেহেদি বিক্রি করেছেন দুই তরুণী। তাদের সাথে আলাপ করে জানা যায় ঈদ মানেই মেহেদি-রাঙা হাত। তাই ঈদের সময় মেহেদি বিক্রি হয় অনেক বেশি। যদিও শেষ মুহূর্তে এসে কিছুটা বেড়েছে বিক্রি। তবে অবশ্যই অন্যান্য বছরের চেয়ে প্রায় ৬০ ভাগ কমেছে বিক্রি। আগে ২০ রমজান থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার মেহেদির পিস বিক্রি হতো। ২৫ রমজান থেকে সেই বিক্রি বাড়তো তিন-চারগুণ। কিন্তু এবার করোনার মধ্যে গতকাল ২৮ রমজান পর্যন্ত দিনে তিনশ’ থেকে পাঁচশ’ পিস মেহেদি বিক্রি হয়েছে বলেন তারা।

আফমিতে মেহেদি কেনার সময় কথা হয় রুজিনা খন্দকার ও তার মা শেফালি বেগমের সাথে। তিনি বলেন, শুধু নতুন জামা আর জুতোতেই নয়, নিজেকে একটু বেশি সুন্দর করে তুলতে চাই একটু সাজগোজ আর মেহেদি-রাঙা হাত। পছন্দনীয় পোশাকের সাথে ঈদের দিন রাঙা হাত কে না পছন্দ করে? বিশেষ করে ঘরে ছোট কন্যাশিশু আছে। মেহেদিতে হাত রাঙাতে তারা বেশি পছন্দ করে। নিজেদের বয়স হয়ে গেলেও তাদের জন্য কিনতে হয় মেহেদি। তাই নিহা ও কাবেরি মিলে চারটা মেহেদি নিয়েছি। এখানে ১০০ টাকার মেহেদি ডিসকাউন্ট দিয়ে এক পিস ৭০ টাকায় বিক্রি করছে।

পাকিস্তানি কাবেরি, নিহা, লিজান, এলিট রাঙা মেহেদি, শাহাদাতী ও মমতাজসহ আছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের। তবে তরুণীদের মধ্যে বেশি আগ্রহ দেখা যায় পাকিস্তানি কাবেরি ও নিহা মেহেদিতে। পাঁচ মিনিটেই রং আসে এমন মেহেদিতে ভরা দোকানগুলো। তবে কাবেরি মেহেদীর রং আসতে প্রায় একদিন সময় লাগে। তবু মেয়েদের আগ্রহ এই মেহেদির উপর। কারণ এ মেহেদির রং তুলনামূলক অন্য ব্র্যান্ডের চেয়ে বেশিদিন টেকে। আর রংও হয় ন্যাচারাল। বাজারে এসব মেহেদী ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। শুধু ভাসমান মেহেদি বিক্রেতাই নয়, দোকানগুলোও ভরে গেছে নানারকম মেহেদিতে। এ দোকানগুলোতেও পাওয়া যাচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকা দামের মেহেদি।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট